যখনই বিশ্বজুড়ে সমীক্ষা করা হয়েছে প্রায় সব সময় এই তথ্যই সবার সামনে এসেছে যে বেশিরভাগ মহিলাই যৌনতার সময় সম্পূর্ণ তৃপ্ত হন না। কারণ হিসেবে দেখা গিয়েছে যে পুরুষ সঙ্গীর অলসতা, অসাবধানতা আর তাড়াহুড়োর কারণেই এরকম ঘটনা ঘটে থাকে।
একটি সমীক্ষার রিপোর্টে সাম্প্রতিক দাবি করা হয়েছে যে, সঙ্গমের সময় যৌন উত্তেজনার মিথ্যা ভান করেন প্রায় ৭০ শতাংশ মহিলা! তাদের সঙ্গীকে খুশি করার জন্যই মহিলারা যৌন মিলনের সময় এই ছলনার আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। একটি সমীক্ষার ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর সেক্সুয়াল মেডিসিনের করা রিপোর্ট অনুসারে, একবার সঙ্গমের সময় ২০ বার পর্যন্ত অর্গ্যাজম হতে পারে প্রায় ৮ শতাংশ মহিলার।
সঙ্গমে এই চরম তৃপ্তির স্বাদ থেকে অধিকাংশ সময়ই বঞ্চিত হন ভারতের ৭০ শতাংশ মহিলাই। তাই তাদের মিথ্যা ভান করতে হয় যৌন উত্তেজনার।
মহিলাদের যৌনমিলনে তৃপ্তি আসে দেরিতে। অনেকের আবার যৌনতায় তৃপ্তি হয় না চেষ্টা করেও। তাই যৌনতৃপ্তির ভান করেন কিছু মহিলা। সেটাকে ফেক অরগ্যাজ়ম বলা হয়। অনেকসময় যৌনতায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন মহিলারা অরগ্যাজ়ম না হওয়ায়। পরকীয়া সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন দৈহিক চাহিদা মেটানোর জন্য। বেশ কয়েকটি কারণ আছে মহিলাদের যৌন অতৃপ্তির।
• যৌনতৃপ্তি বা অরগ্যাজ়মের জন্য তৈরি থাকে না অনেক মহিলার শরীর। হয়তো অরগ্যাজ়ম হবে কোনও না কোনওসময়। ফলত, নেতিবাচক কোনও কিছুই ধরে নেওয়া ঠিক না আগে থেকে।
• ফোরপ্লে (ক্লাইম্যাক্সের আগের ক্রিয়াকলাপ) মহিলাদের অরগ্যাজ়ম হওয়ানোর অন্যতম হাতিয়ার । মহিলারা উত্তেজিত হন না সেটি ঠিকমতো না করতে পারলে। আর অনেকসময় যৌনসুখ অতৃপ্ত থেকে যায় সেকারণেও।
• কোনও মহিলাকে ক্লান্তিকর দিনের পর কাছে পেতে চাইলে, তাঁর তৃপ্তি নাও আসতে পারে। তিনি আজীবন যৌনভাবে অতৃপ্তই থেকে যেতে পারেন।
• সমস্যা তৈরি হতে পারে কোনও শারীরিক বা মানসিক যন্ত্রণা থেকেও। অনেকসময় বড়বেলাতেও ছোটোবেলায় যৌন হেনস্থা হওয়া তার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। হয়তো সেই কারণেই মিলনেচ্ছা চলে গেছে হতে পারে। একপ্রকার বাধ্য হয়ে শারীরিক মিলনে সম্মতি দেন কেবলমাত্র সঙ্গীর ভালোলাগার কথা মাথায় রেখেই। কিন্তু নিজে বঞ্চিত থাকেন তৃপ্তি থেকে। এমন ক্ষেত্রে, অনেকবেশি বুঝদার হতে হবে সেই মহিলার সঙ্গীকে। সঙ্গিনীকে সম্পূর্ণ যৌনসুখ দিতে তাঁকে অনেককিছু বোঝাতে হবে। কাছে আসতে হবে মানসিকভাবে।