শুধু এই রাজ্যেই নয় গোটা দেশ জুড়েই বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর এই বাড়তি কোভিডের কারণ হিসেবে অন্যতম ভূমিকা পালন করছে ওমিক্রন। রাজ্যের করোনা পজিটিভের হারও বাড়ছে ওমিক্রনের কারণে। পজিটিভিটির হার বলতে শতকরা যত জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে তারমধ্যে বেশির ভাগেরই ওমিক্রন ধরা পড়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছে এই হার অধিক হওয়ার অর্থ অনেকেই করোনা আক্রান্ত হলেও পরীক্ষা করাচ্ছেন না।
কারণ হিসেবে উঠে আসছে, পরীক্ষা করাচ্ছেন না অনেকেই বারবার সতর্ক করার পরেও উপসর্গ থাকলেও। সাধারণ সর্দি কাশি ভেবে এড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন কেবল সাধারণ জ্বর সর্দি কাশি থেকে উপসর্গের ভিত্তিতে আলাদা ভাবে কোভিডকে শনাক্ত করা অত্যন্ত কঠিন, ক্ষেত্রবিশেষে কার্যত অসম্ভব।
বিশেষজ্ঞদের আরও দাবি, টিকা নিয়েছেন উপসর্গহীন বা মৃদু উপসর্গ যুক্ত এমন অনেকেই। ফলে পাত্তা দিচ্ছেন না অনেকেই অল্প সর্দি কাশি হলে। আর কোভিড সেই সুযোগেই দাবানলের মতো ছড়াচ্ছে।
যেহেতু এখন কার্যত ঘরে ঘরেই কোভিড সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে তাই উপসর্গ মিলিয়ে ইনফ্লুয়েঞ্জা না কোভিড তা যাচাই করা অর্থ হীন বলছেন চিকিৎসকরা। বরং পরীক্ষা করতে হবে কোভিড হয়েছে ধরে নিয়েই। পরীক্ষায় নেগেটিভ এলে কোভিড নয় তবেই প্রমাণিত হবে।
বিশেষজ্ঞদের ধারণা প্রাথমিক ভাবে করোনার এই নতুন রূপে ফুসফুস নয়, শ্বাসনালীর উপরের অংশ সংক্রামিত হয়। তবে ওমিক্রন ভাইরাস কম শক্তিশালী হয়ে যাচ্ছে ফুসফুসের কম ক্ষতি করছে বলেই, এমন ভাবনা মারাত্মক বড় একটি ভুল হতে পারে। তেমন মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। সম্প্রতি কেমব্রিজ ইন্সটিটিউট ফর থেরাপিউটিক ইমিউনোথেরাপি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজ-এর অধ্যাপক রবীন্দ্র গুপ্ত এমনটাই দাবি করেছেন। কোনও সাধারণ সর্দি কাশি নয় ওমিক্রন। স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ওপর এর জেরে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার চিফ সাইনটিস্ট সতর্কবার্তা দিয়ে ট্যুইট করলেন। ওমিক্রনকে হালকাভাবে নেওয়ার বিপজ্জনক ফল হতে পারে। হু-এর টেকনিক্যাল প্রধানের এটাই বার্তা।