শুভক্ষন না আসা পর্যন্ত তিনি নাকি স্বামীর কাছে শশুরবাড়ি যাবেন না। এরকমই জেদ ধরে স্বামীর কাছে গেলেন না স্ত্রী দীর্ঘ ১১ বছর। এই ঘটনাটি ঘটেকর ছত্তিশগড়ে। দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে এরকমই চলতে থাকার পর মামলা হয় আদালতে। আদালত থেকে শেষ পর্যন্ত এই বিয়ে ভেঙে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
এই মামলা ওঠে আদালতে বিচারপতি গৌতম ভাদুড়ি ও রজনী দুবের বেঞ্চে। এই মামলাকে পরিত্যাগের মামলা হিসাবে নির্দেশ দেওয়া হয় হিন্দু ম্যারেজ অ্যাক্টের খাতে। আদালত শেষ পর্যন্ত এই বিয়েতে ডিভোর্সে সম্মতি দিয়েছে। উল্লেখ্য, এই মামলা এর আগে ফ্যামিলি কোর্টে দায়ের করেন সন্তোষ সিং নামে এক ব্যক্তি। তিনি সেখানে অভিযোগ করেন, বিয়ের পর তাঁর স্ত্রী তাঁর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকেন, ১১ দিন একসঙ্গে থাকার পর। প্রথমে সন্তোষ এই বিয়ে থেকে অব্যহতি চাইলেও তা মঞ্জুর করেনি আদালত। এরপর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন তিনি। সেখানে জানান, তাঁর স্ত্রী তাঁকে ছেড়ে থাকতে শুরু করেন ২০১০ সালে বিয়ের পর থেকে। বহুবার চেষ্টা করেছেন স্ত্রীকে ঘরে ফেরাতে বলেও জানান সন্তোষ। তবে সন্তোষের দাবি,শুভক্ষণ না আসা পর্যন্ত তিনি শ্বশুরালয়ে প্রবেশ করবেন না বলে স্ত্রীয়ের জেদ ছিল।
সন্তোষের স্ত্রীয়ের এই মামলায় দাবি, বিয়ের পর যেদিন শুভক্ষণ ছিল, সন্তোষ তাঁকে সেই দিন নিতে আসেননি। ফলে সেই কারণে তিনিও যেতে পারেননি শ্বশুরালয়ে। সন্তোষ সিংয়ের স্ত্রীয়ের দাবি, তাঁর স্বামীকে তিনি ছেড়ে দেননি। তিনি ঐতিহ্যের পালন করছেন কেবল। এদিকে, আদালত দুপক্ষের বক্তব্য শুনে জানিয়েছে, একটি পরিবারের ভালো সময় মনে করা হয় ‘শুভক্ষণ’ কে। তবে এটি কেবলই একটি বাধার কারণ এই মামলায়। আদালত এই মর্মে এই বিয়ে ভেঙে দেওয়ার সপক্ষে রায় দেয়। নিজের রায়ে আদালত, এও জানিয়েছে যে, সম্পূর্ণ রূপে আলাদা হয়ে ছিলেন স্ত্রী স্বামীর থেকে, সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে। ফলে এই ডিভোর্স পাওয়া স্বামীর অধিকার সেই দিক থেকে।