বড়দিনের দিন মাথায় লাল টুপি, গায়ে লাল জামা আর নকল সাদা গোঁফ দাড়ি লাগিয়ে সান্তা ক্লজ অনেকই সেজে থাকেন। আর কিছু না হোক সান্টা টুপি পরিহিত প্রচুর মানুষের দেখা গেলে। ক্রিসমাসের সাথে অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত সান্টা তাই সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু যদি বড়দিনের বিকাল বেলা পার্কস্ট্রিটে দেখা যায় লাল টুপি নয়, তার জায়গায় মাথায় টোপর। গায়ে পাঞ্জাবি আর রজনীগন্ধা মালা পরে বর বেশে রাস্তায় বেরিয়ে পড়েছেন কেউ!! অবাক লাগা বেশ স্বাভাবিক তাই নয় কি?
কিন্তু এমনই ভিন্নধর্মী দৃশ্য এর সাক্ষী থাকলো বড়দিনের পার্কস্ট্রিট। পার্ক স্ট্রিটের মোড়ে দেখা মিলল একজন নন এক্কেবারে তিনজন বরবেশী যুবকের। আর সান্টা নন, এদের ঘিরেই বাড়তে থাকল কৌতুহলী জনতার ভিড়। এমন ‘রেডিমেড বর’ এলো কোথা থেকে। বিয়ের পিঁড়ি থেকে উঠে বড়দিনের পার্কস্ট্রিট বেড়াতে চলে এলেন নাকি তাঁরা? পৌষ মাস তো বিয়েরও মাস নয়। তাহলে? প্রশ্ন সকলের মনে।
কেউ ভাবছেন, ‘‘বর সেজে নিজের পছন্দের মত মেয়ে খুঁজতে ’’ কেউ আবার বলে উঠলেন, “হয়ত বিয়ের আসর ছেড়ে বড়দিনের মজা নিতে এসেছে”। ইত্যাদি নানা গুঞ্জন উঠতে থাকলো সাথে আসতে থাকলো জামাইদের সাথে সেলফির আবদার। শেষমেষ বড়দিনের বিকালে এমন জটলা বাড়তে থাকলো তিনজনকে ঘিরে যে ভিড় হালকা করতে পৌঁছতে হল পুলিশকে। পুলিশকে সময় আর এগোনোর আগেই ভিড় আর জটলার কারণে ‘বর’দের বিদায় দিতে হল পার্কস্ট্রিট থেকে। কিন্তু এমন সহ্য এই দিনে এই তিন যুবকের এখানে আসার কারণটা কী? খোলসা করলেন তারাই।
বর সেজে দাঁড়িয়ে থাকা যুবকরা জানালেন, একটি নতুন ‘বিবাহ বিজ্ঞাপনী সংস্থার’ হয়ে অভিনব প্রচার করতে তাঁরা এসেছেন। এই উপায় তাই সাকসেসফুল। যাঁরাই তাঁদের সঙ্গে সেলফি তুলতে আসছেন, তাঁদের কে দেওয়া হচ্ছে সংস্থার কার্ড। এই তিন বর বেশী যুবকের একজন হলেন গড়িয়ার বাসিন্দা প্রণব সর্দার, আরেকজন বেহালা চৌরাস্তার বাসিন্দা সমিত কর্মকার, তৃতীয়জন দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালীর এক বাসিন্দা। ২৫ ডিসেম্বরের বর সাজলেও বাস্তবে অবশ্য তিনজনেরই বিয়ে হয়ে গিয়েছে।
তথ্য সূত্র: সংবাদ প্রতিদিন