যথার্থই পৃথিবীর প্রথম ‘টেসলা বেবি’ বলা যায় একে। এলন মাস্কের যুগান্তকারী সৃষ্টি অটোমেটিক টেসলা গাড়ির সাহায্যে হাসপাতালের দিকে যেতে যেতেই সন্তানের জন্ম দিলেন এক আসন্নপ্রসবা। কেন বলা হচ্ছে টেসলা গাড়ীর এর সাহায্যে। জানুন ঘটনাটা
বাড়ি থেকে টেসলা গাড়ী চেপে নিজের বড় ছেলের স্কুলের দিকে রওনা দিয়েছিলেন পেনসিলভেনিয়ার এক গর্ভবতী মহিলা ও তার স্বামী। বড় ছেলেকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। রাস্তায় জ্যামে অপেক্ষা করছিলেন।
কিন্তু গাড়ি মাঝ পথে থাকতে প্রসব যন্ত্রণা ওঠে ওই মহিলার। জানা গিয়েছে, প্রসব যন্ত্রনা ক্রমশই বাড়তে থাকায় এবং আচমকাই ইয়ানের ‘ওয়াটার ব্রেক’ শুরু হয়। মহিলার স্বামী তাঁদের টেসলা গাড়িটিকে অটোপাইলট মোডে দিয়ে হাসপাতালের দিকে চালনা করে দেন। তারপরে স্ত্রীকে প্রসবে করানোয় মনোযোগ দেন। স্বচালিত স্বয়ংক্রিয় গাড়ির ইতিহাসে এমন ঘটনার নজির এই প্রথম।
কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছনোর আগেই স্বচালিত ‘টেসলা’ গাড়ির সামনের সিটেই নিজের সন্তানকে জন্ম দিলেন সেই মহিলা। বিদ্যুৎ চালিত সেই টেসলা গাড়িটি সেই সময়ে অটোপাইলট মোডে রাস্তায় চলছিল। ঘটনাটি কয়েক মাস আগের। ৯ সেপ্টেম্বর জন্ম নেয় এই ‘টেসলা বেবি’। বর্তমানে তাঁর বয়স সাড়ে তিনমাস।
টেসলা গাড়ীতে ভূমিষ্ঠ ওই শিশুর মায়ের নাম ইয়ান শেরি এবং বাবা কেটিং শেরি। দম্পতি জানান, ওয়াটার ব্রেক হওয়ার পরই রাস্তার জ্যাম দেখে তারা ধারণা করতে পেরেছিলেন প্রসবের আগে হাসপাতালে পৌঁছানো প্রায় অসম্ভব। তাই পরিস্থিতি অনুযায়ী শিশুটির পিতা টেসলা গাড়িকে সেলফ ড্রাইভিং মোডে দিয়ে দেন নেভিগেশন সেট করে, যাতে তিনি স্ত্রীকে প্রসবে সাহায্য করতে পারেন। হাসপাতালের পথে টেসলা গাড়িটি নিজে থেকেই চলতে শুরু করে। যতক্ষণে তারা হাসপাতালের কাছাকাছি ততক্ষণে টেসলা গাড়ীতেই পৃথিবীর আলো দেখে ফেলেছে ‘টেসলা বেবি’। যখন গাড়ীটি হাসপাতালে কাছাকাছি পৌঁছেয় একজন শিশু রোগ বিশেষজ্ঞ সে সময়ে হাসপাতালের বাইরেই ছিলেন। তিনি বিষয়টি দেখামাত্র গাড়ির মধ্যেই সদ্যজাতের নাড়ি কেটে দেন।
পরবর্তী সময়ে মহিলা ও শিশু কে হাসপাতালে রাখার সময় সেই হাসপাতালে নার্সরা শিশুটির নাম দেন ‘টেসলা বেবি’। যদিও শিশুটির বাবা মা মেয়ের নাম রেখেছেন মেইভ। তারা জানিয়েছেন, এই টেসলা গাড়িটি তাঁরা মেয়েকে দিয়ে যাবেন।