পরকীয়ায় মেতেছে এমন অনেক উদাহরণ আছে। এবার নিজের শাশুড়িকে নিয়েই পালালো এক যুবক। হাওড়ার লিলুয়াতে এই নিয়ে বিরাট শোরগোল পড়ে গেছে । কৃষ্ণ গোপাল দাস পলাতক যুবকের নাম । তিনি তার শাশুড়ি শেফালী দাসের সাথে পালিয়ে গেছেন তার স্ত্রীকে একা ফেলে । বর্তমানে লিলুয়া থানায় দায়ের হয়েছে অভিযোগ।
মানুষ অন্ধ হয়ে যায় প্রেমে পড়লে। কাম্য নয় এমন অনেক ঘটনাই আমাদের সামনে আসে যা বিশ্বাস করাও যায় না । তাই হয়তো সফরি নতুন সংসার করতে পালিয়ে গেলেন জামাইয়ের সাথে । জানিয়ে হাওড়া সংলগ্ন লিলুয়া এবং হাওড়ার কিছু অঞ্চলে উত্তেজনা ছড়িয়েছে।
জানা গিয়েছে বাবলা দাস হাওড়ার লিলুয়া থানার অন্তর্গত জগদীশপুরের নতুন বিশগত শনিবার নিজের একমাত্র সন্তানের বরের সঙ্গেই পালিয়ে যায়, যে কিনা সম্পর্কে জামাই।দীর্ঘদিনের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল শেফালীর সঙ্গে তাঁর জামাইয়ের বলে অভিযোগ পরিবারের।
প্রিয়াঙ্কা কান্নায় ভেঙে পড়েন মায়ের সাথে তার স্বামীর পরকীয়া সম্পর্ক জানতে পেরে । এরপর তিনি বলেন যে পুলিশের সাথে এই ব্যাপারে কথা বলবেন । বিষয়টি নিয়ে বাবলা দাস এবং মেয়ে প্রিয়াঙ্কা দাস পুলিশের দ্বারস্থ হন । কৃষ্ণ গোপাল দাসের স্ত্রী মতে তার উপর অকথ্য অত্যাচার চালাত কৃষ্ণ গোপাল দাস তার স্বামী । এমনকি অশ্রাব্য ভাষায় গালাগালি ও চলত । তুমি কি ব্যাপার যখন স্ত্রী জানতে পারে তখন তাকে বাজে ভাষায় গালাগালি দেওয়া হয় । কৃষ্ণ গোপাল দাসের এক বছরের একটি সন্তানও রয়েছে। কৃষ্ণর স্ত্রীর আরো অভিযোগ, সে ঘরজামাই হিসাবে থাকতো। পুলিশ প্রিয়াঙ্কা ও তাঁর বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে । এর মধ্যে পুলিশ তার তদন্ত শুরু করে দিয়েছে ।
গোটা এলাকায় এদিকে শাশুড়ি-জামাইয়ের এই ‘কীর্তি’ জানাজানি হওয়ার পরই । এলাকাবাসীদের একাংশের মতে শাশুড়ির সঙ্গে কৃষ্ণের প্রেমের সূত্রপাত, মেয়ের বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই ।