খুব দ্রুত হারে করোনার ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ বাড়ছে আমেরিকায়। গত সপ্তাহের নিরিখে করোনার এই নয়া প্রজাতির সংক্রমণ ছিল মোট ৩ শতাংশ সেখানে মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে ৭৩ শতাংশে পৌঁছে গেছে সেইটা সংক্রমণ। মোট যত জনের জিনোম সিকোয়েন্সিং করা হচ্ছে, তারমধ্যে প্রায় ৭৩ শতাংশের শরীরেই ওমিক্রন ধরা পড়ছে । যেখানে গত সপ্তাহে ছিল মাত্র ৩ শতাংশ।
বারংবার ওমিক্রনের সংক্রমণ আতঙ্ক তৈরি করেছে শেষ কয়েকদিনে ব্রিটেন ও আমেরিকায় । সেখানেই একপ্রকার দ্রুত হারে বেড়ে চলেছে এই অমিক্রনের সংক্রমণ মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই। অন্য দিকে অপেক্ষাকৃত অনেকটাই কমেছে ডেল্টা প্রজাতির করোনা সংক্রমণ। ফলে এখন প্রধান আতঙ্কের কারণ ওমিক্রন প্রজাতি এই আমেরিকা ও ব্রিটেনে। ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ বৃদ্ধির হার জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ে তাই চিন্তা বাড়াচ্ছে প্রশাসনের।
মার্কিন প্রশাসন মনে করছে , প্রতিনিয়ত ওমিক্রন প্রজাতির সংক্রমণ এর এ ভাবে যদি বৃদ্ধি পাওয়ার চিত্র দেখা যায়, তা হলে এই একটি ঢেউ হিসাবে চিহ্নিত হতে পারে সংক্রমণও। তাতেই আমেরিকার স্বাস্থ্য পরিকাঠামোয় বড়সড় চাপ তৈরি হতে পারে। সিডিসি-র তরফ থেকে ইতিমধ্যে জানানো হয়েছে, গোটা পৃথিবীতেই এই একই চিত্র দেখা যেতে পারে। ঢেউ তুলতে পারে এই ওমিক্রন সারা পৃথিবীতেই।
এমনও একাধিক স্থান রয়েছে আমেরিকার, প্রায় সমস্ত সংক্রমণই যে খানে ওমিক্রনের সংক্রমণ। নতুন করোনা সংক্রমণের ৯২ শতাংশই ওমিক্রন নিউ ইয়র্কে, আবার সংক্রমণের ৯৬ শতাংশই ওমিক্রনের সংক্রমণ ওয়াশিংটনে। ফলে এই প্রজাতি যে চাপ তৈরি করবে বিভিন্ন স্থানে, তা বলাই বাহুল্য। আমেরিকায় টিকাকরণ নিয়ে ইতিমধ্যে আরও জোর দিতে শুরু করেছে বাইডেন প্রশাসন। যাতে তাঁরা দ্রুত টিকা নিয়ে নেন সকলকেই আবেদন করা হচ্ছে, । কিন্তু অনেকের মধ্যেই এখনও অনীহা রয়েছে টিকা নেওয়ার বিষয়ে। সেই কারণেই বাইডেন প্রশাসন প্রচারে জোর দিতে চাইছে।