আরব আমীরশাহীতে থাকার ছাড়পত্র পাওয়া ভারতীয় নাগরিকরা, সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার কোভিশিল্ড বা ভারত বায়োটেকের কোভ্যাক্সিনে ভরসা খুঁজে পাচ্ছেন না। আর তাই ফাইজারের করোনা টিকা নিতে দৌড়োচ্ছেন তাঁরা বিজনেস ক্লাসের টিকিট কেটে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমীরশাহীতে । অন্তত তেমনটাই জানান দিচ্ছে বিমানের টিকিট বুকিং সংস্থা এবং প্রাইভেট জেট সংস্থাগুলির তথ্য ।
শুধুমাত্র ফাইজারের করোনা টিকা নেওয়ার জন্য দুবাইয়ে ভিড় করছেন দেশের ধনী এবং অতিধনী ব্যক্তিরা । কারণ, এখনও শুরু হয়নি ওই টিকার চল ভারতে । শুধুমাত্র টিকা নয়, এ দেশ আর সুরক্ষিত মনে হচ্ছে না তাঁদের কাছে, ভারতে করোনা সংক্রমণ লাফ দিয়ে বাড়তে থাকার সঙ্গে হাসপাতালে শয্যার, অক্সিজেন সিলিন্ডারের এবং করোনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ওষুদের হাহাকার বৃদ্ধি পেতে থাকায় । আর তাই তাঁরা ভেকেশন নয়, ভ্যাকসিনেশন ও সুরক্ষার জন্য দুবাই পাড়ি জমানোই শ্রেয় মনে করছেন ।
এমন এক সংস্থা ফ্লাই অ্যারোলিঙ্ক ট্র্যাভেলের এগজিকিউটিভ ডিরেক্টর অমিত উদানীর কথায়, ‘দুবাইয়ে বসবাস করার ভিসা রয়েছে এমন বহু ভারতীয় ব্যবসায়ী চলতি বছরের মার্চ থেকে এমিরেটস-এর বিজনেস ক্লাস টিকিট কাটতে শুরু করেছেন এবং এই সংখ্যাটা ক্রমেই বাড়ছে। সে দেশে টিকা নেওয়ার পাশাপাশি ব্যবসার কাজও করা হয়ে যাচ্ছে। যাকে বলে রথ দেখা আর কলা বেচা। এছাড়া, টিকা নেওয়ার ছুতোয় ছোটখাটো পারিবারিক ছুটি কাটানো হয়ে যাচ্ছে।’ মূলত এই ভিড় বাড়তে শুরু করেছে দুবাই এবং আরব আমীরশাহীর অন্যত্র নিজের পছন্দের টিকা নেওয়ার সুযোগ দেওয়ার পর থেকেই, অমিত জানান।
অন্যদিকে, দেশ যখন নাকাল দৈনিক ৩ লক্ষের বেশি করোনা সংক্রমণ নিয়ে এবং ব্রিটেন ভারত থেকে সে দেশে উড়ান বন্ধের কথা ঘোষণা করেছে, তার আগেই সে দেশে পৌঁছে গিয়েছে অতিধনী ভারতীয়রা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে প্রাইভেট জেট ভাড়া করে । যদিও সে দেশের জমিতে নামার অনুমতি দেয়নি ব্রিটিশ সরকারবেশ কিছু চার্টার্ড ফ্লাইটকে ।