এক মহিলা স্তণ্য পান করাচ্ছিলো তার সন্তান কে সাথে ফোনে কথা বলছিলো প্রেমিকের সাথে। ঠিক তখনই ওই মহিলার স্তনবৃন্তে কামড় বসিয়ে দেয় বছর দুয়েকের বাচ্চাটি। প্রচন্ড রেগে গিয়ে ওই মহিলা শিশুটির নাকে মুখে বালিশ চেপে ধরে। স্বাসবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শিশুটির।পিংলা থানা এলাকার বাখনাবাড় গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তরবাড় গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে। সূত্রের থেকে খবর পাওয়া গেছে যে পরকীয়া প্রেমে উন্মত্ত ছিলেন ওই মহিলা।
তখন স্তনপান করছিল দু’বছরের মেয়েটি। তার খুব খিদে পেয়েছিল। অবশ্য তখন ফোন করেছিলেন মায়ের প্রেমিক। মিষ্টি মিষ্টি কথা চলছিল। মায়ের স্তনবৃন্ত কামড়ে ফেলেছিল শিশুটি এমন সময়ে। এটা অবশ্য শিশুদের সহজাত প্রবৃত্তি। তাতেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়া মা ব্যথ্যা অনুভব করেছিল। এমনকী প্রেমালাপে সেটা বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তখনই কোলের সন্তানকে রাগের চোটে বালিশ চাপা দিয়ে মারল মা! এমন ঘটনা যে ঘটতে পারে অনেকে তা কল্পনাও করতে পারছেন না।
অভিযোগ, নানারকম গল্প বানানোর চেষ্টা করেছিল ওই মহিলা নিজের দোষ ঢাকতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, হঠাৎই গ্রামের লোকজন শনিবার দুপুরে শুনতে পায় তার ২ বছরের বাচ্চা মারা গেছে লেপ চাপা পড়ে। প্রতিবেশীদের তার মা পুজা জানায়, বাড়ির উঠোনে লেপ রোদে দিয়েছিল দুপুর বেলায়। খেলছিল শিশুটি সেই লেপের মধ্যেই। রান্না করছিল পুজা। পরে এসে দেখে, আপাদমস্তক জড়িয়ে রয়েছে মেয়ে লেপের মধ্যে। লক্ষ্য করে,শ্বাস চলছে না, বুক ওঠানামা করছে না। নাকের কাছে হাত দিয়ে দেখে শিশুটির শ্বাসপ্রশ্বাস পড়ছে না।
বাচ্চার দুঃখে বাড়ির অন্যান্যরাও কান্নাকাটি করল গ্রামের কয়েকজনের সন্দেহ হয়েছিল। আর তারপরেই চাপ সৃষ্টি করলে পূজা জানাকে শেষ পর্যন্ত সে নিজেই স্বীকার করে তার নিজের সন্তানকে সেই খুন করেছে। আর পূজা জানার বাপের বাড়িতে তারপরেই খবর দেওয়া হয় এবং পিংলা থানার পুলিশকে। এরপরই তদন্তে প্রতিবেশী দেবাশিস মণ্ডলের নাম উঠে আসে। পুজার স্বামী দেবাশিস জানা আন্দামানে থাকেন কর্মসূত্রে। প্রতিবেশী দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে ওই গৃহবধূ স্বামীর অনুপস্থিতিতে। তার সঙ্গেই ফোনে প্রেমালাপ চলছিল। শিশুকে যার জেরে বলি হতে হল।
এই ঘটনায় পুলিশ ওই মহিলা এবং তার প্রেমিককে আটক করেছে। সন্ধ্যায় উত্তরবাড় গ্রামে গিয়ে অভিযুক্ত মা ও তাঁর প্রেমিককে আটক করে নিয়ে এসেছে থানায় পিংলা থানার পুলিশ।