Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

বদ্রীনাথে ধ্যান করেছিলেন স্বয়ং শ্রীবিষ্ণু! জানেন বদ্রীনাথ মন্দির সম্পর্কে এই অজানা তথ্যগুলি

উত্তরাখণ্ডে অবস্থিত বদ্রী নারায়ণের মন্দির বদ্রীনাথ ভারতের হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের কাছে অন্যতম এক তীর্থ ক্ষেত্র। এটি একটি বিষ্ণুমন্দির যার উল্লেখ বহু প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ তে আছে। এটি ভারতবর্ষের চার ধামের এক ধাম।
ভারতের উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ জায়গাটি ও বদ্রীনারায়ণ মন্দির ‘চারধাম’ ও ‘ছোটো চারধাম’ নামে পরিচিত তীর্থগুলির অন্যতম। এই মন্দিরের বিষয়ে আছে নানা অজানা তথ্য..

• ভারতের চার ধাম যাত্রার হিসাবে পরিচিত পায় যে চারটি জায়গা তার মধ্যে অন্যতম বদ্রীনাথ মন্দির। দেশের চার প্রান্তের চারটি বিশেষ নারায়ন বা তার অবতারের মহিমান্বিত তীর্থক্ষেত্র একসঙ্গে চার ধাম হিসাবে পরিচিত। উত্তর ভারতের উত্তরাখণ্ডের বদ্রীনাথ মন্দির ছাড়া চারধামের অন্তর্ভু্ক্ত বাকি চারটি মন্দির অবস্থিত হল পশ্চিমের দ্বারকা, পূর্বের পুরী এবং দক্ষিণের রামেশ্বরমে।

• ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের ছোটা চার ধামেরও ভেতরেও পড়ে বদ্রীনাথ। উত্তরাখণ্ডের বাকি তিন ধাম হল কেদারনাথ, গঙ্গোত্রী ও যমুনোত্রী।

• বিষ্ণু ভগবানের পূজার উদ্দেশ্যে নির্মীত ভারতবর্ষের পাঁচ বদ্রী মন্দিরেরও অন্যতম হল বদ্রীনাথ মন্দির।

• ভাগবত্‍ পুরাণ, স্কন্দ পুরাণ এবং মহাকাব্য মহাভারতেও উল্লেখ রয়েছে বদ্রীনাথ মন্দিরের। এছাড়া হিন্দুধর্মের গুরুত্বপূর্ন পুরাণ পদ্মপুরাণেও বদ্রীনাথের নিকটবর্তী যে সমস্ত স্থান তাকে পবিত্র ক্ষেত্র বলে উল্লেখ করা আছে।

• বিষ্ণুর ১০৮টি দিব্যদেশমের অন্যতম হল বদ্রীনাথের মন্দির।

• পৌরাণিক কথা অনুযায়ী, এই স্থানে বিষ্ণু ধ্যানে বসেছিলেন। প্রাচীন আর্যবর্ত -এ হিমালয়ের একটি অঞ্চলে মাংস প্রিয় সন্ন্যাসী ও অসৎ জনজাতির বাস ছিল। বদ্রীনাথ অঞ্চলটি হিমালয়ে এমন একটি স্থান ছিল যা এই সকল অসাধু সংসর্গ ছাড়া ছিল। এই কারণে ভগবান বিষ্ণু ধ্যানের জন্য এই স্থানটিকে বেছে নেন। সেই সময় বিষ্ণু এখানকার দারুণ শীত সম্পর্কে জানতেন না। তিনি ধ্যানে বসার পর তার স্ত্রী লক্ষ্মী একটি বদ্রী গাছের আকার নিয়ে তাকে সমস্ত প্রতিকূলতা থেকে পাহারা দেন। লক্ষ্মীর এমন ভক্তিতে তুষ্ট হয়ে বিষ্ণু এই অঞ্চলের নাম ওই গাছের নামে দেন বদরিকাশ্রম। 

• আটকিনসনের মত অনুযায়ী (১৯৭৯), এই অঞ্চলে এক সময় ছিল ঘন বদ্রী গাছের জঙ্গল। কিন্তু সেই জঙ্গল আজ আর নেই

প্রতি বছর এপ্রিল মাসের শেষের দিক থেকে নভেম্বর মাসের প্রথম ভাগ পর্যন্ত ছয় মাস এই মন্দিরটি ভক্তদের উদ্দেশ্যে খোলা থাকে। শীতকালে এই অঞ্চলে তাপমাত্রা এতটাই নেমে যায় আর আবহাওয়া এত প্রতিকূল হয়ে যায় সেই কারণে ওই সময় এই মন্দির বন্ধ রাখা হয়। উত্তরাখণ্ডের চামোলি জেলায় গাড়ওয়াল পার্বত্য অঞ্চলে অলকানন্দা নদীর তীরে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০,২৭৯ ফুট উচ্চতায় এই মন্দিরটি অবস্থিত। বদ্রীনাথ ভারতের জনপ্রিয় তীর্থগুলির একটি। এখানে প্রতি বছর লাখ লাখ তীর্থযাত্রী আসে বদ্রী নারায়ণকে দর্শনের উদ্দেশ্যে।

Related posts

পাশের বাড়ী টিভি দেখা নিয়ে অশান্তি! মেয়ের উপর চড়াও হলেন সৎ মা, পরিণতি মারাত্মক

News Desk

একবার ওমিক্রণে আক্রান্ত হলে কি দ্বিতীয়বার সংক্রমনের আশঙ্কা থাকে? কতদিন থাকে অ্যান্টিবডির উপস্থিতি

News Desk

ফেসবুকে প্রেম! বিয়ে করতে এসে যে এই দৃশ্য অপেক্ষা করছিল কে জানতো… পুলিশের দ্বারস্থ যুবক

News Desk