ইংরেজি প্রবাদ রয়েছে মর্নিং শোজ দি ডে (Morning Shows the Day)। অর্থাৎ সকলের শুরু যে ভাবে হয় তার উপর একটা গোটা দিন নির্ভর করে কেমন যাবে। মানে পুরো দিনটা ভালোও কাটতে পারে আবার ভালো নাও যেতে পারে। খারাপ কাটবে না ভালো তা নির্ভর করে সকালের শুরু কিভাবে হচ্ছে তার ওপর। দিনের শুরুটা যদি ভালো হয় তাহলে গোটা দিনটা ভালো যায়। আমাদের জীবনের প্রতিদিন একটা যুদ্ধের চেয়ে কম কিছু নয়। আগের দিনের ক্লান্তি মিটিয়ে পরের দিনের জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয় সকালেই।
বাস্তু মতে, এমন কিছু কাজ আছে, যা সকালবেলা ঘুম ভাঙ্গার পর করলে তার প্রভাব সরাসরি আমাদের বাকি দিনের উপর পড়ে। এর ফলে সারাদিনের কাজকর্মে বাধা আসতে পারে। তাই বিশ্বাস অনুযায়ী এমন বেশ কয়েকটি কাজ আছে যা ভুলেও সকালে করতে নেই। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, এই সমস্ত কাজের ফলে জীবনে অশুভ প্রভাব পড়বে।
যেমন একটি কাজ আমরা অনেকেই প্রায় প্রতিদিন সকালে করি যা বাস্তুমতে ভীষণ অশুভ। সেটি হলো সকালে ঘুম থেকে উঠেই আয়নায় নিজের মুখ দেখা।
সকালে ঘুম থেকে উঠেই আয়নায় নিজের মুখ একবার দেখার অভ্যেস অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু জ্যোতিষ বলে এমনটা করলে তার একটা অশুভ প্রভাব সারাদিন আমাদের ওপর কাজ করে। আসলে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আমাদের শরীর থেকে নেগেটিভ এনার্জি বার হয়। বলা হয় এই নেগেটিভ এনার্জি আসল কারণ যে কারণে রাতে আমরা দুঃস্বপ্ন দেখি। সকালে উঠে আয়নায় মুখ দেখলে আমাদের মুখে এই নেগেটিভ এনার্জির ছায়া পড়ে। ফলে সকলের পজেটিভ এনার্জি তা শোষণ করে নেয় এবং নেগেটিভ এনার্জি সারাদিন আমাদের চিন্তা ভাবনায় থেকে যার। যার কারণে সারাদিন কোনও কাজে মনঃসংযোগ হয়না। ফলে দিন খারাপ যায়।
তাই বলা হয় এর থেকে বাঁচতে শোয়ার ঘরের বিছানার ঠিক উলটো দিকে আয়না রাখা উচিৎ নয়। আর যদি রাখতেই হয় তাহলে এমন জায়গায় রাখা উচিত, যেখানে ঘুম ওঠার পর প্রথমেই নজর না-চলে যায়।
বাস্তু শাস্ত্র মতে, সকালে ঘুম ভাঙার পর প্রথম যে জিনিস দেখেন, তার প্রভাব ব্যক্তির শুধু দিনের উপরেই নয় তার আগামীদিনের জীবনের ওপর পড়ে। বাস্তুশাস্ত্র বলে কোনো বস্তু জড় পদার্থ হলেও তার ভেতর পজেটিভ এবং নেগেটিভ এনার্জি রয়েছে। সেই মতো দিনের শুরুতে সেটি দৃষ্টি পথে গোচর হলে তা প্রভাব বিস্তার করে থাকে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির জীবনে। অতএব, এই এমন জিনিস দেখার বিষয়ে সতর্ক থাকা উচিত। বিশেষ করে সকালবেলা ঘুম ভাঙ্গার পর তো বটেই!