রীতিমত দেখাশোনা করে বিয়ে ঠিক হয়েছিল দুইজনের। যথেষ্ট ধুমধাম সহকারে হয়েছিল বিয়েও। কিন্তু ফুলশয্যার রাত ভোর হতে না হতেই ঘটল দুর্ঘটনা। আরে মর্মান্তিক ঘটনা ঘিরে উঠছে একাধিক প্রশ্ন।
কি এমন দুর্ঘটনা ঘটলো? আসলে ফুলশয্যার পরের দিন সকালবেলা স্বামীর দেহ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেলেন সদ্য বিবাহিত নববধূ। কিন্তু কেন বিয়ের পরেই আত্মঘাতী হলেন স্বামী? জানা নেই নববধূর। পুলিশের কাছে তাঁর দেওয়া বয়ান অনুযায়ী, শুক্রবার ভোরবেলা তাদের শোয়ার ঘরেই গলায় ফাঁস লাগিয়ে দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন তাঁর স্বামী। আত্মহত্যার রহস্য সমাধানে তদন্তে নেমেছে বি গার্ডেন থানার পুলিশ।
মৃতের নাম আদর্শ সাউ (২৪)। পেশায় গাড়িচালক। গত ৭ ডিসেম্বর তাঁর দেখাশোনা করে বিয়ে হয় বারাকপুর নিবাসী বর্ষা কুমারীর সঙ্গে। দুই পরিবারে দেখাশুনা করে মহা ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল দু’জনের। বৃহস্পতিবার ছিল তাঁদের ফুলসজ্জা। নিহতের স্ত্রী বর্ষা জানিয়েছেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর স্বামী তাঁকে বাথরুমে গিয়ে চোখ মুখ ধুয়ে ফ্রেশ হয়ে আসতে বলেন। আদর্শের কথা মতোই ফ্রেশ হতে বাথরুমে গিয়েছিলেন তিনি। বাথরুম থেকে ফিরেই বর্ষা কুমারী দেখেন ফুল দিয়ে সাজানো ফুলসজ্জার খাটের ওপরেই ফাঁস লাগিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছেন তার স্বামী। সঙ্গে সঙ্গে তিনি চিৎকার করে পরিবারের বাকি সদস্যদের ডাকেন। যুবক ফাঁস খুলে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
ঘটনার আকস্মিকতায় বিহ্বল দুই পরিবারের লোকেরাই জানিয়েছেন, তারাই দেখাশোনা করে দু’জনের বিয়ে স্থির করেছিলেন। আদর্শেরও এই বিয়েতে সম্মতিও ছিল এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। কেন সে এমনটা করল— কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছেন না তাঁরা। বর্ষা জানান, ‘‘বিয়ের আগে আমাদের মধ্যে ফোনে মাঝেমধ্যেই কথাবার্তা হত। তবে সে সময় কিছু অস্বাভাবিক তাঁর কথায় টের পাইনি।’’
পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, মৃতের কাছ থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। ময়নাতদন্তের জন্য আদর্শের দেহ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আদর্শ বা বর্ষা কারওর কোনো অন্য প্রেমঘটিত সম্পর্কের জেরেই এমন ঘটনা কি না, সে বিষয়ে প্রশ্ন উঠছে।