করোনা ভাইরাসের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে ভারতে। কর্নাটকের পর এবার গুজরাতে ধরা পড়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ। এদিকে গবেষকরা যা বলছেন তাতে ওমিক্রন নিয়ে তেমন শঙ্কিত হওয়ার কোনও বিষয় নেই বলেই মনে করা হচ্ছে। গবেষকরা প্রাথমিক গবেষণার পর দাবি করেছেন সাধারণ সর্দি-কাশির মতই এই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ।
ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কে কাঁপছে গোটা বিশ্ব। ২৯টি দেশে ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট। কিন্তু কোনও দেশেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরে তেমন উপসর্গ দেখা দেয়নি। গলা ব্যাথা, স্বাদ চলে যাওয়ার মত তেমন কোনও লক্ষ্মণ দেখা দিচ্ছে না। সর্দি থাকছে। তবে উপসর্গ খুবই সামান্য। এই সংক্রমণে মৃত্যুর সংখ্যাও অনেকটা কম। আবার গবেষকরা দাবি করেছিসেন ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের ৩ গুণ বেশি সংক্রক নাকি ওমিক্রন। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার চিকিৎসকরা দাবি করেছেন ওমিক্রন আক্রান্ত রোগীর শরীরে তেমন উপসর্গ দেখা যাচ্ছে না।
আরও এক গবেষকরা দাবি করেছেন সাধারণ সর্দিকাশির মতই রয়ে যাবে ওমিক্রন। ম্যাসাচুসেট এবং কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা দাবি করেছেন মূলত যাঁদের রোগ প্রতিরোধক শক্তি কম, খুবই দুর্বল যাঁরা, তাঁদের শরীরেই বেশি থাবা বসাচ্ছে ওমিক্রম ভ্যারিয়েন্ট। এমনই দাবি করেছেন তাঁরা যে দক্ষিণ আফ্রিকার যে সব দেশে ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট প্রথম সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে সেখানে এইচআইভি রোগীর সংখ্যা বেশি। তাঁদের রোগ প্রতিরোধর শক্তি নেই বললেই চলে। সেকারণেই ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট সেখানে সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম হয়েছে।