কোভিডের নতুন প্রজাতির খোঁজ মিলেছে যার নাম ওমিক্রন, এই ওমিক্রন এর খোঁজ পাওয়ার সাথে সাথেই গোটা বিশ্ব যেন আতঙ্কে ভুগছে। কোভিডের এই নয়া প্রজাতির প্রভাব পড়েছে প্রথম বৎসয়েনায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা WHO এর বিজ্ঞান মহলের প্রধান বিজ্ঞানীর মতে কোভিড বিধির উপর আবারো জোর দিতে হবে। ভিড় করা কোনও জায়গায় বা মাস্ক না পরে চলা ফেরা করা এসবের উপর বিধিনিষেধ বাড়াতে হবে আরো। কিন্তু অনেক বিশেষজ্ঞ আবার অন্য কথা বলছেন। তাদের মতে যাবতীয় বিধিনিষেধ এবং ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও যদি এই ওমিক্রন ছড়িয়ে পরে তবে এটা অভিশাপের বদলে আশীর্বাদ হতেও পারে।
কেন এমনটা বলছেন তারা?
তারা আসলে এটাই বলতে চাইছেন যে এখনও কতটা বিপজ্জনক ওমিক্রন তা এখনও জানা যায়নি। যদি করোনার এই নতুন স্ট্রেন শেষ পর্যন্ত দেখা যায় ততটা ভয়ংকর নয়, কিন্তু ভীষণ ছোঁয়াচে তাহলে এটা ‘আশীর্বাদ’ হয়ে দাঁড়াতে পারে। মার্ক ভ্যান একজন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন, ”যদি কম বিপজ্জনক এবং বেশি ছোঁয়াচে হয়ে ওঠে ওমিক্রন , তাহলে ডেল্টা স্ট্রেনকে সরিয়ে ওমিক্রন প্রধান সংক্রামক স্ট্রেন হয়ে উঠবে। যা একটা অত্যন্ত পজিটিভ ব্যাপার।”
এখনো পর্যন্ত করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট এর দ্বারা সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে মানুষ। ৯০ শতাংশের বেশি মানুষ এই স্ট্রেনেই আক্রান্ত। করোনার দ্বিতীয় প্রবাহ ভারতে প্রথম সন্ধান মেলা এই স্ট্রেনের দাপটেই দেশে আছড়ে পড়েছিল। যদি ডেল্টার দাপট ওমিক্রন কমাতে পারে তাহলে ভয়াবহতা কমতে পারে করোনার, এমন আশাতেই মার্ক ভ্যানের মতো বিশেষজ্ঞরা আপাতত বুক বাঁধছেন।
ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা দক্ষিণ আফ্রিকায় সন্ধান মেলা নয়া স্ট্রেন ওমিক্রন নিয়ে। ‘উদ্বেগজনক ভ্যারিয়েন্ট’-এর তকমা দেওয়া হয়েছে সরকারি ভাবে। ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশদক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছে। নতুন স্ট্রেনের খোঁজ মিলেছে ব্রিটেন, বেলজিয়ামেও। এই পরিস্থিতিতে একাধিক সতর্কতা অবলম্বন করেছে ভারত
মুম্বই বিমানবন্দরে দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নামা সমস্ত যাত্রীকেই কোয়ারেন্টাইন রাখা হবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।