করোনার এই নতুন রূপ ওমিক্রন, কতটা তীব্র ভাবে ছড়াতে পারে তা এখনই জানান দিয়ে দিয়েছে। এই নতুন স্ট্রেন এখনও পর্যন্ত মোট ৩৮ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এবং অন্যান্য ভ্যারিয়েন্টের তুলনায় দ্রুত ছড়ালেও এখনও পর্যন্ত ওমিক্রন এর কারণে কারোর মৃত্যু হয়নি এটাই সবাই কে নিশ্চিন্ত করছে।
গোটা বিশ্ব করোনার (Corona) প্রভাবে হিমশিম খাচ্ছে। অতিক্রান্ত হয়েছে দু বছরের বেশি সময়। প্রতিদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ এখনও আক্রান্ত হচ্ছেন করোনাতে। যখন এই করোনা নিয়ে নাজেহাল সকলে, তখন আরও এক নতুন ভাইরাস (Virous) এর উৎপত্তি হল। সূত্র মতে ওমিক্রন ভাইরাসের প্রসার ঘটছে। এই রোগ প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় শনাক্ত করা যায়। ওমিক্রন শনাক্তকরণের দু সপ্তাহের মধ্যেই এত গুলো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
মাইকেল রায়ান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র কর্তা অবশ্য বলেছেন, এর সংক্রমণ ক্ষমতা নিয়ে এখনই কিছু বলার সময় হয়নি। তবে স্ট্রেনটি যে ভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তা সাবধান হওয়ার মতোই। ওমিক্রনের ঘটেছে প্রবেশ আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়ায় দু’দিন আগে। সূত্র অনুযায়ী , শুরু হয়ে গিয়েছে স্ট্রেনটির স্থানীয় সংক্রমণও এই দুই দেশে। অর্থাৎ এমন কেউ সংক্রমিত হয়েছেন এখানে, যাঁরা বিদেশ সফর করেননি সম্প্রতি। কারও থেকে আক্রান্ত হয়েছেন স্থানীয় এলাকাতেই। দক্ষিণ আফ্রিকার বিজ্ঞানীরা ওমিক্রন নিয়ে প্রাথমিক একটি গবেষণা প্রকাশ করেছেন। সেখানে ডেলটা ও বেটা ধরনের তুলনায় দেখা গেছে, ওমিক্রনের পুনরায় সংক্রমিত করার ক্ষমতা তিন গুণ বেশি। এ ছাড়া করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির আগে শরীরে গড়ে ওঠা প্রতিরোধব্যবস্থা ভেঙে দেওয়ার সক্ষমতা ওমিক্রনের রয়েছে।
সবশেষ ওমিক্রনে সংক্রমিত রোগী শনাক্ত হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ায় স্থানীয়ভাবে। দক্ষিণ আফ্রিকায় মোট আক্রান্ত ৩০ লাখ ছাড়িয়েছে ওমিক্রনের প্রকোপে।
দক্ষিণ আফ্রিকা জানিয়েছে, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বারের জন্য এই স্ট্রেনে কোভিড সংক্রমিত হচ্ছেন অনেকে। সবে থেকে বেশি যেটা দেখা যাচ্ছে তা হল বাচ্চাদের সংক্রমিত হওয়ার ঘটনা । মূলত পাঁচ বছরের নীচে যে শিশুরা আছে তাদের সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা প্রচন্ড বাড়ছে।