ওমিক্রন ভারিয়েন্ট ভারতবর্ষে আসার পর কপালে ভাঁজ ফেলেছে গোটা দেশের। ভারতবর্ষের প্রথম ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের খোঁজ মিলেছে বেঙ্গালুরুতে। সেখানে দুজন আক্রান্ত হয়েছেন এই ওমিক্রন ভারিয়েন্টের দ্বারা। কিন্তু এই দুজনের মধ্যে একজন সম্প্রতি অত্যন্ত বিপদজনক দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ফিরেছে , অপর দিকে অন্যজন কিন্তু কোথাও যাননি সম্প্রতি কালে। টাই যথেষ্ট সন্দেহ হচ্ছে ওই ব্যক্তির শরীরে কিভাবে এই ওমিক্রন প্রবেশ করলো? তবে কি এটাই মানতে হবে যে এই ওমিক্রন ভারতেও ঢুকে পড়েছে? হয়তো অনেকেই এই ওমিক্রন শরীরে নিয়ে ঘুরছে এদিকে সে জানেও না? সত্যিই আতঙ্ক ছড়িয়েছে এসব প্রশ্নের জন্য। কর্ণাটক সরকার সূত্রে এখনো পর্যন্ত জানা গিয়েছে যে ওমিক্রন বেঙ্গালুরুর ৬৬ এক বছরের বৃদ্ধ এবং ৪৬ বছরের এক ব্যক্তির শরীরে পাওয়া গেছে। ওই ৬৬ বছরের বৃদ্ধ সম্প্রতি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকেই ফেরার পর অসুস্থ বোধ করেন। তাই এটা মনে করা হচ্ছে যে উনি ওই দেশ থেকেই সংক্রমিত হয়েছেন।
কিন্তু, বেঙ্গালুরুর বোম্মানাহালির বাসিন্দা এবং পেশায় চিকিৎসক ওমিক্রন সংক্রমিত ৪৬ বছরের ব্যক্তি। তিনি বান্নেরঘাটা রোডের একটি হাসপাতালে কর্মরত। সম্প্রতি তিনি রাজ্যের বাইরেই যাননি তো দেশের বাইরে বহুদূরের কথা। তিনি করোনা ভ্যাকসিনের ডবল ডোজ নিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও তিনি করোনা পরীক্ষা করান শরীরে জ্বর-সর্দি সহ করোনার উপসর্গ দেখা দিলে দিন দশেক আগে। রিপোর্ট পজিটিভ আসে গত ২২ নভেম্বর। তিনি আইসোলেশনে এরপরেই চলে যান। জিনোমিক সিক্যোয়েন্সিংয়ের জন্য গত ২৪ নভেম্বর তাঁর নমুনা পাঠানো হয়। সেই রিপোর্টে গত ২৫ তারিখ দেখা যায়, ওই চিকিৎসক ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট দ্বারা আক্রান্ত। কী ভাবে তিনি Omicron -এ আক্রান্ত হলেন বিদেশ ভ্রমণ না করা সত্ত্বেও তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।