কাকতালীয় হলেও এ এক অবাক করার মতো ব্যাপার তো বটেই! ভারত, এই দেশের নাগরিকের অধিকার এবং এই দেশের সংবিধানের সঙ্গে বড় আশ্চর্য ভাবে জড়িয়ে গিয়েছে মাসের ২৬ নম্বর দিনটি! একটি আমাদের অতি সুপরিচিত জানুয়ারি মাসের ২৬ তারিখ, যা প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে উদযাপন করা হয়ে থাকে প্রতি বছর। কিন্তু এ ছাড়াও ভারত, ভারতীয় নাগরিক এবং তার সংবিধানকে ঘিরে বছরের আরও একটি মাসের ২৬ নম্বর দিনটি উদযাপনের কেন্দ্রে থাকে। সেটি হল এই নভেম্বর মাসের ২৬ তারিখ। এই দিনটিকে বলা হয়ে থাকে সংবিধান দিবস।
প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও গোটা দেশ জুড়ে উদযাপন হচ্ছে সংবিধান দিবস। ২৬ নভেম্বর ভারতের সংবিধান গ্রহণের দিনটিকে স্মরণে রেখেই এই দিনটি পালন করেন দেশবাসী। ২০১৫ সালের ১৯ নভেম্বর কেন্দ্র সরকার সরকারি বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২৬ নভেম্বর দিনটিকে সংবিধান দিবস হিসাবে ঘোষণা করেন।
কিন্তু কেন এই দিনটি ভারতের সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত হয় জানেন?
১৯৪৭ সালের ২৬ নভেম্বর। ১৫ অগাস্ট স্বাধীন হওয়ার পর এই দিন ভারতে প্রথম সংবিধান রচনা করেছিলেন তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. ভীম রাও আম্বেদকর (Dr Bhim Rao Ambedkar)। দেশের প্রতি, গণতন্ত্রের প্রতি তাঁর এই অবদানকে সম্মান জানাতেই ২০১৫ সাল থেকে আজকের দিনটি ভারতীয় রাজনীতিতে সংবিধান দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। এবছর সেই উৎযাপনের ছয় বছর।
উল্লেখ্য, ভারতীয় সংবিধানের খসড়া চূড়ান্তকরণকারী কমিটির প্রধান ছিলেন বিআর আম্বেদকর। খসড়াটি তৈরি করতে সময় লেগেছিল ২ বছর ১১ মাস ১৭ দিন। এর আগে এর আগে ২৬ নভেম্বর দিনটি জাতীয় আইন দিবস হিসাবে পালিত হত।
ক্ষমতায় আসার পর ২০১৫ সালে এক ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানে দেশবাসীকে সম্বোধন করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আশা ” সংবিধান দিবস” পালনের মাধ্যমে দেশের সংবিধানের গুরুত্ব-আদর্শ এবং মূল্যবোধের প্রতি সবাই আরও সজাগ হবেন। মোদি আরও বলেন, এবছরের সংবিধান দিবস অন্যান্য বছরের থেকে আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এবছর সংবিধান তৈরির ৭০ বছর পূর্ণ করল দেশ।