Dainik Sangbad – দৈনিক সংবাদ
Image default
ট্রেন্ডিং

পৃথিবীর অন্যতম আশ্চর্য চীনের প্রাচীর ! এই প্রাচীর সম্পর্কে ১০টি অজানা তথ্য জানেন কী?

চীনের কথা বললেই যে শব্দটি আমাদের মনে প্রথম উঁকি দেয় তা হচ্ছে চীনের মহাপ্রাচীর। একে চীনা ভাষায় বলা হয় ‘ছাংছং’। ‘ছাংছং’-এর আভিধানিক অর্থ হচ্ছে দীর্ঘ দেয়াল। এটি মানুষনির্মিত বিশ্বের সবচেয়ে বড় স্থাপনা। এমনও কথিত আছে, চাঁদ থেকেও এই স্থাপনা নাকি অবলোকন করা যায়। চীনের মহাপ্রাচীর মানুষের হাতে তৈরি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় স্থাপত্য । বিশ্বের সপ্তম আশ্চর্যের একটি। বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হওয়ার পাশাপাশি এটি চীনের জাতীয় প্রতীকও বটে।

চীনের প্রাচীর সম্পর্কে নানা তথ্য, লোককথা ইত্যাদি আছে যা অনেকেই জানেন না। এমন কয়েকটি তথ্য এখানে তুলে ধরা হল।

1/ সাধারণ বিশ্বাসের বিপক্ষে এটা বলা হয়ে থাকে যে, চীনের

মহাপ্রাচীর খালি চোখে দেখা যায় না। কোনোকিছুর সাহায্য নিয়ে

তবেই এই প্রাচীর দেখা যায়।

2/ কিন রাজবংশের (২২১-২০৭ খ্রীস্টপূর্ব) প্রথম দিকে যখন এই

মহাপ্রাচীর তৈরি হয়, তখন ইটের গাঁথুনিতে মশলা হিসেবে আঠালো ভাত ও আটা ব্যবহার করা হয়েছিল। 3/ আমরা সাধারণত চীনের মহাপ্রাচীরের যে অংশটি দেখে থাকি, তা মিং রাজবংশের দ্বারা নির্মিত হয়। এটি মহাপ্রাচীরের শেষ অংশ, যা ইট দিয়ে তৈরি এবং অনেক পর্যংবেক্ষন টাওয়ার দ্বারা সজ্জিত।

4/ চীনের মহাপ্রাচীরকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় কবরস্থান বলা হয়ে থাকে। এ প্রাচীর তৈরিতে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ মারা যায়। পরবর্তীতে প্রত্নতাত্বিকরা প্রাচীর নিচের অংশে মানুষের দেহাবশেষের সন্ধান পেয়েছেন।

5/ সরকারি গণনামতে চীনের মহাপ্রাচীরের দৈর্ঘ্য ৮,৮৫১.৮ কিলোমিটার (৫,৫০০ মাইল) হলেও, হাজার বছর পূর্বে যখন এই মহাপ্রাচীর নির্মিত হয়, তখন এর দৈর্ঘ্য ছিল ২১,১৯৬.১৮ কিলোমিটার (১৩,১৭০ মাইল)। এর নিরক্ষবৃত্তের পরিধি ৪০,০৭৫ কিলোমিটার ৯২৪,৯০১ মাইল)।

6/ চীনের মহাপ্রাচীর ক্ষয়ের হুমকির মুখে। মহাপ্রাচীরের উত্তর পশ্চিম অংশ (গানসু ও নিংজিয়া প্রদেশ অংশে) খুব দ্রুত ধসে যাচ্ছে। মনে করা হয় যে, এসব অংশ মানুষ ও প্রকৃত্রির দ্বারা আগামি ২০ বছরের মধ্যে ধ্বংস হয়ে যাবে।

7/ দশ লক্ষেরও বেশি মানুষ প্রতিবছর চীনের মহাপ্রাচীর প্রদর্শন করতে যান। মহাপ্রাচীরের সবচেয়ে বিখ্যাত অংশ – বাদালিং, যা – তিনশতেরও বেশি রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিশ্বের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা ভ্রমণ করেন। এটাকেই প্রাচীরের সবচেয়ে ব্যস্ততম অংশ বলা হয়ে থাকে, যা পুনরুদ্ধার করা হয়।

৪/ ১৯৬৬ থেকে ১৯৭৬ সাল পর্যবন্ত যখন সাংস্কৃতিক বিপ্লব সংগঠিত হয়, সেসময় বাড়ি, খামার ইত্যাদি তৈরির জন্য মহাপ্রাচীরের অনেক ইট খুলে নিয়ে যাওয়া হয়। না হলে, এই মহাপ্রাচীরের অনেক অংশ আজকের তুলনায় অনেক বেশি সংরক্ষিত থাকতো।

9/ মহাপ্রাচীরের কিছু অংশ এতই প্রশস্ত যে, এর ওপর দিয়ে অনায়াসেই একটি গাড়ি দ্রুতবেগে চলতে পারে।

10/ চীনের মহাপ্রাচীর নিয়ে যত লোককথা প্রচলিত আছে, এগুলোর মধ্যে ‘মেন জিয়াংগুর বেদনাদায়ক কান্না’ বেশ সুপরিচিত। মেন জিয়াংগু’র স্বামী এই প্রাচীর তৈরির সময় মারা যান। কথিত আছে, মেনের কান্না এতই বেদনাদায়ক ছিল যে, মহাপ্রাচীরের একটি অংশ ধসে যায়। আর সেখান থেকে তার স্বামীর হাড়গোড় বের হয়, যেন সে সেগুলো কবর দিতে পারে।

Related posts

বর আসেনি বিয়ে করতে! শাড়ি, গয়না পরে পাত্রের বাড়ির সামনে উপস্থিত হয়ে ধর্না দিলেন পাত্রী

News Desk

বোমাঘাত হলে ছড়াবে ভয়াবহ রোগ জীবাণু! অবিলম্বে ইউক্রেনকে ল্যাব ধ্বংস করতে বলল WHO

News Desk

স্নান করতে গিয়ে বাথরুমে মৃত্যু একাকী প্রৌঢ়ের, সারা রাত ধরে আগলে বসে থাকল পোষ্য!

News Desk