ব্যবসার জায়গায় বা বাড়ির সদর দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলানোর প্রথা বেশ পুরনো। কম বেশি আমরা সকলেই এই প্রথার সঙ্গে পরিচিত। এটি একটি ঘরোয়া টোটকা।
কেউ কেউ ঘরোয়া টোটকাকে অন্ধবিশ্বাস বলে মনে করেন। আবার কেউ অতি বিশ্বাসের সঙ্গে এই টোটকা পালন করেন। তবে যাঁরা জ্যোতিষশাস্ত্রের ওপর বিশ্বাস রাখেন, তাঁরা এই লেবু-লঙ্কা ঝোলানোর প্রথাটিকে মানেন। তবে অবশ্যই পাতিলেবু ব্যবহার করতে হবে।
যারা বাস্তুশাস্ত্র নিয়ে পড়াশোনা করেন, তাদের মতো এই টোটকাটিকে কাজে লাগালে নাকি অনেক উপকার পাওয়া যায়। বিশেষত খারাপ শক্তির প্রভাবে কোনও বিপদ ঘটার আশঙ্কা একেবারে কমে যায়। শুধু তাই মেলে আরও অনেক উপকার, যে সম্পর্কে এই প্রবন্ধে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। তবে তার আগে আপনার জেনে রাখা প্রয়োজন যে অনেকের কাছেই অন্ধবিশ্বাস হিসেবে পরিচিত এই টোটকাটিকে কাজে লাগালে যে বাস্তবিকই কিছু উপকার পাওয়া যায়, সে কথা বিজ্ঞানও মেনে নিয়েছে। প্রথমে জেনে নিন বিজ্ঞান কি বলছে?
পাতিলেবুর মধ্যে আছে সাইট্রাস অ্যাসিড এবং কাঁচালঙ্কায় রয়েছে অ্যাসকরবিক অ্যাসিড। সুতোয় গাঁথা হলে লেবু ও লঙ্কা দুয়ের থেকেই একটা ঝাঁঝালো গন্ধ বেরোয়। এই দুই গন্ধ একসঙ্গে মিশলে তা কীটপতঙ্ককে দূরে সরায়। এই দুয়ের অ্যারোমাটিক ফ্লেভার ব্যাকটিরিয়া দূর করে। ফলে ঘর-বাড়ি থাকে পরিচ্ছন্ন নির্মল।
সাতটি লঙ্কা ও একটু লেবু সুতোয় বেঁধে ঝুলিয়ে রাখলে তা আসলে প্রাকৃতিক এয়ার ফ্রেশনারের কাজ করে। অত্যন্ত কম দামে আপনার ঘর-বাড়িকে পোকামাকড় মুক্ত রাখতে এর জুড়ি নেই। শুধু সাত দিন অন্তর এক বদলাতে ভুলবেন না। কারণ বেশি দিন হয়ে গেলে লেবু-লঙ্কা শুকিয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে এর নিজস্ব অ্যারোমেটিক ফ্লেভার।
শাস্ত্র মতে লেবু লঙ্কা ঝোলানোর উপকার!
শাস্ত্র মতে অলক্ষ্মী, ঝাল জাতীয় খাবার বেজয় পছন্দ করেন। তাই তো লেবু-লঙ্কা ঝোলালে বাড়ির দরজায় এসে মা লক্ষ্মীর বোন থেমে যান, কারণ সেখান থেকেই তিনি খাবার খেয়ে উল্টো মুখে ফিরে যান। ফলে বাড়ির অন্দরে খারাপ শক্তির প্রবেশ ঘটার সম্ভাবনা যায় কমে।
এছাড়াও এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে বাড়ির দরজায় লেবু-লঙ্কা ঝোলালে কারও খারাপ দৃষ্টির প্রভাবে কোনও ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। কারণ লেবু-লঙ্কার প্রভাবে খারাপ শক্তি ঘরের ভিতরে প্রবেশই করতে পারে না।