অনেক সময় যখন কোন মহিলা যমজ সন্তানের জন্ম দেন তারা সাধারণত একে অপরের কয়েক মিনিটের মধ্যে জন্মগ্রহণ করে। কিন্তু অনেক সময় দুই শিশুর জন্মের সময় এর ব্যবধান এর মধ্যে এসে যেতে পারে কয়েকদিন এর পার্থক্যও। এমনকী আরো দীর্ঘ হতে পারে। কিন্তু কাজাকিস্তানের এই মহিলা দুই সন্তানের জন্ম দিতে যে সময়ের ব্যবধান নিয়েছেন তা বিরলের মধ্যে বিরলতম। এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞান রীতিমত অবাক। এই মহিলা তার দুই যমজ সন্তানের জন্ম দিয়েছেন প্রায় তিন মাসের ব্যবধানে। প্রসঙ্গত ঘটনাটি কথা বলছি সেটি ঘটেছিল আজ থেকে বছর দুয়েক আগে। অর্থাৎ 2019 সালে।
কাজাকিস্তান নিবাসী 29 বছর বয়সী ওই মহিলা যমজ সন্তান গর্ভে ধারণ করেছিলেন। মহিলাটির নাম লিলিয়া কোনোভালোভা। সন্তানের জন্মের সময় দেখা যায় ওই মহিলা প্রথম এক শিশু কন্যার জন্ম দেয় যে জন্মেছিল ২৪শে মে। একইসাথে তার গর্ভে থাকা আরেক যমজ সন্তান জন্ম নিয়েছিল প্রায় তিন মাস পরের ৯ই আগস্টের দিন। শিশু কন্যার নাম লিয়া আর 11 সপ্তাহ পরে জন্ম নেওয়া তার জমজ ভাইয়ের নাম ম্যাক্সিম।
চিকিৎসক বিশেষজ্ঞদের মতে যমজ সন্তানের এইভাবে জন্ম নেওয়া বিরল আর শুধু তাই নয় প্রায় 5 কোটি যমজ মানুষ জন্মানোর মধ্যে কোন একটিতে এমন ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে।
সূত্র অনুসারে ১১ সপ্তাহের অন্তরালে জন্ম দিলেও তার দুই সন্তান সুস্থ ছিল। কিন্তু এমনটা কিভাবে সম্ভব? কাজাখ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, যারা সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুটি শিশুর জন্মের বিষয়ে তথ্য দিয়েছিলেন তারা লিয়া এবং ম্যাক্সিমের জন্মের মধ্যে অবিশ্বাস্য সময়ের ব্যবধানের যে কারণ দর্শিয়েছিলেন তা হল প্রথম সন্তান গর্ভে পরিপূর্ণতা পাওয়ার আগে জন্মগ্রহণ করেন। মাত্র 25 সপ্তাহ সে মাতৃগর্ভে ছিল এবং জন্মানোর সময় তার ওজন ছিল মাত্র 850 গ্রাম। আর গর্ভে সম্পূর্ণ পরিপূর্ণতা পেয়ে তার ভাই সঠিক সময়ে জন্মায়। জন্মের সময় তার ওজন ছিল 2.9 কিলোগ্রাম যা তার বোনের প্রায় তিনগুণ।
কিন্তু তাহলেও তো জরায়ু থেকে একটি সন্তান বেরিয়ে এলে অপরটি কিভাবে থেকে যায়। চিকিৎসকরা জানান আসলে লিলিয়ার ভিতরে দুটি জরায়ু রয়েছে। চিকিৎসকরা তার দুটি জরায়ুর বিষয়ে প্রায় ৭ বছর আগে জানতে পারেন যখন লিলিয়া তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেয়। এই যমজ সন্তানের ক্ষেত্রে ডাক্তাররা দেখতে পেয়েছিলেন দুটি শিশু বিভিন্ন জরায়ুতে বেড়ে উঠছিল।