ডিজিটাল দুনিয়ার জগতেও আজও এমন অনেক জায়গা রয়ে গেছে যেখানে নানা অদ্ভুত যুক্তির বেড়াজালে মেয়েদের প্রবেশ নিয়ে বিধিনিষেধ বহাল রাখা হয়েছে। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এটাই সত্যি। বিষয়টা অনেক পুরনো। প্রায় সব ধর্মেই , সব দেশেই বা বলা যায় সব জাতিতেই এমন কিছু উদাহরণ পাওয়া যায়। এখনও এই সমস্ত স্থান পৃথিবীতে রয়ে গেছে যেখানে সামাজিক বেড়াজালের গন্ডিতে মেয়েদের প্রবেশ আজও মানা। বিশ্বের এই জায়গাগুলিতেও বহাল রয়েছে এই নিয়ম। সেগুলো কোন কোন জায়গা দেখে নিন
বার্নিং ট্রি ক্লাব, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র- খোদ আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মতন জায়গায় মেরিল্যান্ডের গলফ ক্লাব, বার্নিং ট্রি ক্লাবে আজও কোনো মহিলার প্রবেশের অনুমতি নেই। এখানে এই একবিংশ শতাব্দীতেও জারি আছে এই নিয়ম।
ওকিনোশিমা দ্বীপ, জাপান- জাপানের নাগরিকদের কাছে এটি একটি পবিত্র স্থান। শিনটোর ঐতিহ্য অনুযায়ী এই জায়গায় প্রবেশাধিকার আছে কেবল পুরুষের। নারীদের প্রবেশের নিষিদ্ধ এই দ্বীপে। শিনটো ঐতিহ্য হল বৌদ্ধধর্ম, কনফুসিয়ানিজম, তাওবাদ এবং চিনা ধর্মের মিশ্রণ।
মাউন্ট এথোস, গ্রিস- প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে, গ্রিসের মাউন্ট এথোসে মহিলাদের প্রবেশ মানা। অর্থোডক্স চার্চের স্থান হওয়ায়, মাউন্ট অ্যাথোসের শুধুমাত্র ১০০জন অর্থোডক্স ও ১০ জন অর্থোডক্স নন এমন পুরুষ তীর্থযাত্রীকে রাখা হয়। এই সুন্দর দ্বীপে আজও প্রাচীন ধর্মীয় অনুশাসন অনুসরণ করে নারীদের ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়।
শবরীমালা মন্দির: শবরীমালা মন্দিরের ব্রহ্মচারী দেবতা ‘আয়াপ্পা’র নিবাসস্থল বলে ধর্মপ্রাণ মানুষের বিশ্বাস। তাই 10 থেকে 50 বছর পর্যন্ত বয়সের মহিলাদের এই স্থানে প্রবেশ মানা। সুপ্রিম কোর্ট রায় দিলেও এই মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশাধিকার নিয়ে এখনও বিতর্ক রয়েছে।
কার্তিকেয় মন্দির, পুস্কর রাজস্থান: রাজস্থান রাজ্যের পুষ্কর শহরের কার্তিকেয় মন্দিরে মহিলাদের প্রবেশ মানা। এই মন্দিরের সভাপতিত্বকারী ঈশ্বর হলেন ভগবান কার্তিকেয়ের ব্রহ্মচারী রূপ এবং বলা হয় যে মন্দিরে যদি কোনো মহিলা প্রবেশ করে তাহলে তিনি অভিশাপ দেন।