নানা কারণে ফ্লুতে আক্রান্ত হন সাধারণ মানুষ। গত দুবছর ধরে নতুন আতঙ্ক করোনা ভাইরাস ঘটিত ফ্লু। কিন্তু এবার কোন ভাইরাসে নয় ‘জলবায়ু পরিবর্তন’-এর কারণে বিরল রোগের শিকার হলেন কানাডা নিবাসী এক ৭০ বছরের প্রবীণা! সম্ভবত পৃথিবীতে তিনি প্রথম রোগী যার এই রোগ হলো। সারা পৃথিবী কে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বারংবার সচেতন করেছিলেন পরিবেশবিদরা। এর প্রভাব কতটা ক্ষতিকর হতে পারে তাই নিয়েই বহুবার মানুষকে সতর্ক করেছেন। কিন্তু এই রোগীর খোঁজ প্রমাণ করলো জলবায়ু পরিবর্তনের ভয়ংকর প্রভাব এর তত্ত্ব আজ আর শুধু থিওরি নয় একেবারে বাস্তব।
জানা গিয়েছে কানাডার কুটেন লেক হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. কাইল মেরিট আক্রান্ত বৃদ্ধর শরীরে একটি বিশেষ অসুখের খোঁজ পেয়েছেন। চিকিৎসা সূত্রের খবর, তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা ছিল। চিকিৎসক ডা. কাইল মেরিট বলেন, ‘ ঐ বৃদ্ধার জটিল শ্বাসকষ্টের সমস্যা কোথা থেকে এলো সেই কারণ না খুঁজে বার করে শুধুমাত্র চিকিৎসা করতে থাকি তাহলে আমরা নিজেদেরই বিপদ ডেকে আনবো। আমি যা দেখছি সেই অনুযায়ী রোগ নির্ণয় করার চেষ্টা করছি। জরুরি বিভাগে রোজ নানান মানুষজন নানা শারীরিক সমস্যা নিয়ে আসে। সেইখানে বয়স্কদের এভাবে আক্রান্ত হতে দেখে অবাক লাগছে।’
এই ঘটনাটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ কেননা সারা পৃথিবীতে বোধহয় এই প্রথম কোনও ব্যক্তি ‘জলবায়ু পরিবর্তন’-এর করোনা সরাসরি কোনও রোগে আক্রান্ত হলেন। চিকিৎসক কাইল মেরিট বলেন, ‘ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এই ধরনের অসুস্থতা বাড়তে থাকলে আমরা কি ভাবে তার মোকাবিলা করব সেটা যথেষ্ট ভাবনার বিষয়। এখনো আমরা করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়াই করছি। আমরা সকলেই বাইরের পৃথিবীতে খোলামেলাভাবে ঘুরতে চাই। কিন্তু আদৌ কি বাইরের পৃথিবী সেই অবস্থায় আছে। আমরা কি সেখানে সুরক্ষিত? যদিও ওই মহিলার অসুস্থতার সঙ্গে জলবায়ু পরিবর্তনের যোগ রয়েছে , এই বিষয়টি প্রমাণ করতে আরও গবেষণা করছেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।
সম্প্রতি গ্লাসগোতে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে একটি সামিটের হয়েছিল। যেখানে জলবায়ু পরিবর্তন আর তার সুদুরপ্রসারি প্রভাব নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। প্রসঙ্গত, পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধিকে জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ হিসেবে ধরা হয়। মাত্রাতিরিক্ত দূষণ, অতিরিক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি ইত্যাদি জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম বড় কারণ। এর ফলাফল সুদূরপ্রসারী হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।