রীতি হল সপ্তমীর সকালে কলাবউ স্নান। সকাল সকাল কলাবউ স্নান করিয়ে এনে তাঁকে বসানো হয় গণেশের পাশে। কিন্তু নদিয়ার শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির পুজোয় এর ব্যতিক্রম লক্ষ্য করা যায়। দেবী এখানে কাত্যায়নী রূপে পূজিত! নদিয়ার শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ির পুজো শতাব্দী প্রাচীন। এখানে দেবী পূজিত হন কাত্যায়নী রূপে। কাত্যায়নী মূর্তির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো, এই মূর্তির দুটি হাত বড় এবং আটটি হাত ছোট।
এছাড়াও গোস্বামী বাড়ির দুর্গা পুজোতে (Durga Puja 2021) কার্তিক, গণেশ এবং লক্ষ্মী-সরস্বতী এর অবস্থান অন্যান্য মূর্তির থেকে আলাদা। সবচেয়ে বড় ব্যতিক্রম হল কার্তিকের পাশে বসানো হয় কলা বউকে। এছাড়াও নবমীর দিন সারা বিশ্ববাসীর কল্যাণের জন্য বাড়ির সমস্ত সদস্যরা একটি মন্ত্র উচ্চারণ করে থাকেন। এই পুজোর অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এই কাত্যায়নী দেবীর পুজোতে গোস্বামী বাড়ির নিজস্ব একটি প্রাচীন পুঁথিতেই দেবী পূজিত হন। বাইরের কোনও কেনা বই থেকে পুজো করা হয় না।
না যায়, মথুরেশ গোস্বামীর আমল থেকেই এই পুজো (Durga Puja 2021) শুরু হয়। বংশ পরম্পরায় পূজিত হয়ে আসছেন দেবী কাত্যায়নী। প্রায় সাড়ে তিনশো বছরের পুরনো এই পুজো। কিন্তু কী কারনে দেবী এখানে কাত্যায়নীর নামে পূজিত হন? রয়েছে তার পিছনে ইতিহাস। কী সেই ইতিহাস? জানা যায়, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগে কৃষ্ণমূর্তি চুরি হয়ে যায়। তারপর বাড়ির মহিলারা দেবী কাত্যায়নীর ব্রত শুরু করেন। কথিত আছে , ব্রত শুরু করার পর উদ্ধার হয় চুরি যাওয়া কৃষ্ণমূর্তি। এরপর থেকেই শুরু হয় দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা। তারপর থেকেই প্রতিবছরই দেবী কাত্যায়নীর আরাধনা হয়ে আসছে এই বড় গোস্বামী বাড়িতে।