দেশজুড়ে তিন দিন ধরে পালন হয় দীপাবলির উত্সব। ধনতেরস থেকে শুরু করে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পর্যন্ত চলে এই উত্সব। আলোর উত্সব দীপাবলি হিন্দু সম্প্রদায় ছাড়াও শিখ ও জৈন ধর্মাবলম্বীরাও পালন করে থাকেন। এই বছর ৪ নভেম্বর ২০২১ পালিত হবে দীপাবলি বা দিওয়ালি। দীপাবলির ইতিহাসের সঙ্গে পুরাণের যে সব গল্প জড়িত,তার মধ্যে সবচেয়ে প্রচলিত রাম, সীতা ও লক্ষ্মণের অযোধ্যায় ফেরার কাহিনি। তবে এছাড়াও আরও অনেকগুলি গল্প জড়িত রয়েছে দীপাবলির সঙ্গে।
রামায়ণে দীপাবলি
রামায়ণ মতে দশেরায় রাবণ বধ করে দীপাবলিতেই অযোধ্যায় ফেরেন রাম, সীতা ও লক্ষ্মণ। তাঁদের স্বাগত জানাতেই প্রদীপ জ্বালিয়ে সাজানো হয় গোটা অযোধ্যা নগরী। ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে, রাবণ বধ করে রামের ঘরে ফেরায় আলোর উত্সবে মেতে উঠেছিলেন অযোধ্যাবাসী। ত্রেতা যুগে আশ্বিন মাসের শুক্লপক্ষের দশমী তিথিতে রাবণকে হত্যা করেছিলেন রামচন্দ্র। এইদিনে বাঙালিরা বিজয়া দশমী পালন করেন। দেশের অনেক জায়গায় দশেরায় রাবণ বধ অনুষ্ঠিত হয়। এর পর অযোধ্যায় ফিরতে প্রায় ২০ দিন লাগে রাম, লক্ষণ ও সীতার। তাঁদের স্বাগত জানাতে আলোয় সাজানো হয় গোটা অযোধ্যা নগরী।
মহাভারতে দীপাবলি
এছাড়াও মহাভারতে আছে যে ভূদেবী ও বরাহর পুত্র নরকাসুর খুব শক্তিশালী স্বর্গ ও মর্ত্য দখল করে প্রবল অত্যাচার শুরু করেন। শ্রীকৃষ্ণ নরকাসুরকে বধ করে তাঁর প্রাসাদে বন্দিনী ১৬,০০০ নারীকে উদ্ধার করেন। এদের সবাইকেই বিয়ে করে নেন কৃষ্ণ। কিন্তু মৃত্যুর আগে নরকাসুর কৃষ্ণের কাছ থেকে বর চেয়ে নেন যে তাঁর মৃত্যুর দিনটি যেন ধূমধাম করে পালিত হয়। এই দীপাবলিতেই নাকি নরকাসুরকে বধ করেছিলেন কৃষ্ণ।
জৈনধর্মে দীপাবলি
জৈনধর্ম অনুযায়ী, দীপাবলিতেই নির্বাণ লাভ করেছিলেন মহাবীর। এছাড়াও মহাভারতে পাওয়া যায় যে বারো বছর বনবাস ও এক বছর অজ্ঞাতবাসের পর দীপাবলিতেই হস্তিনাপুরে ফিরে এসেছিলেন পাণ্ডবরা। সেই জন্য আলোর মালায় সাজানো হয়েছিল গোটা হস্তিনাপুরকে।