কোনো জায়গায় বসে বসে কাজ করতে গিয়ে হঠাৎ বুঝতে পড়লেন যেন পা আর নাড়াতে পারছেন না। উঠে দাঁড়াতে গিয়ে টের পেলেন পায়ে ঝিঝি ধরেছে। অনেক সময় ধরে একই ভঙ্গিমায় বসে থাকলে অনেকেরই এমন বহু সময়েই হয়। এর কারণ আমাদের পা বা হাতের পেশিগুলিকে উপর নিয়ন্ত্রণ রয়েছে যে স্নায়ুগুলির, তার উপরে দীর্ঘক্ষণ চাপ পড়লেই এমন হয়। পায়ে ঝি ঝি ধরলে সাড় পাওয়া যায় না। এমন অবস্থাকে ঝিঝি ধরা বলে। এই অবস্থাকে ডাক্তারি ভাষায় বলা হয় ‘প্যারেসথেসিয়া’। এটিকে ইংরেজিতে ‘পিনস অ্যান্ড নিডলস’ও বলা হয়ে থাকে।
আসুন জেনে নেই পায়ে বা হাতের কোনো স্থানে ঝি ঝি ধরলে কি করবেন…
অনেক সময় একই ভঙ্গিমায় টানা বসা বা শোয়ার জন্য আমাদের হাতে পায়ে ঝি ঝি ধরে যায়। সাধারণত ঘাড়ের স্নায়ুতে চাপ পড়ার জন্য হাতে ঝি ঝি ধরে। তাই হাতে ঝি ঝি ধরে হাত অবশ অনুভূত হয় সেক্ষেত্রে মাথা দোলান। মানে মাথা একদিক থেকে অন্যদিকে দুলান। এত ঘাড়ের স্নায়ু সতেজ হবে আর হাতের ঝি ঝি অনুভূতি আস্তে আস্তে কমে যাবে।
স্নায়ুকে চাপমুক্ত করুন: হাত বা পা যেখানেই ঝিঝি ধরুক না কেনো সেই স্থানের উপর প্রভাবশালী স্নায়ুর থেকে চাপ দূর করলে ঝি ঝি অনুভূতি চলে যাবে। বেকায়দায় বসলে স্নায়ুর ওপর চাপ পড়ে। তাই সঠিক শারীরিক ভঙ্গিতে বসুন। এড়িয়ে চলুন পায়ের ওপর পা তুলে বসা অথবা হাতে ভার দিয়ে ঘুমানো। অর্থাৎ যদি মনে হয় যে শারীরিক ভঙ্গির কারণে স্নায়ুতে চাপ পড়েছে, তাহলে ভঙ্গিমা পরিবর্তন করুন।
হাঁটা চলা করুন: হাটাহাটি করলে অথবা নড়াচড়া করলে শরীরে রক্ত চলাচল বাড়বে এবং ঝি ঝি ধরার অস্বস্তিজনক অনুভূতি আস্তে আস্তে চলে যাবে। পায়ের ওপর পা তুলে বসে থাকলে সেখান থেকে পা নামিয়ে অল্প হাঁটার চেষ্টা করুন অথবা হাতের ভার সরিয়ে নাড়াচাড়া করুন। এর ফলে অল্প সময়ের মধ্যে স্বাভাবিকতা ফিরে এসে ঝি ঝি অনুভূতি দূর হয়ে যাবে।
এছাড়াও, দেহের যে কোনও অংশে অভ্যন্তরীণ আঘাতের কারণে ঝি ঝি ধরার ঘটনা ঘটতে পারে, এমন অবস্থায় দ্রুত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করাই বুদ্ধিমানের কাজ। হাতে ও পায়ে অসাড়তা বা ঝিঁঝিঁ ধরা অন্য অনেক কারণে হতে পারে। থাইরয়েড, ডায়াবেটিস, স্ট্রোক এবং অন্যান্য নানা রোগ থাকলে এ ধরনের অসাড়তার সমস্যাও দেখা দেয়। তাই স্বাভাবিক উপায়ে না সারলে দ্রুত ডাক্তার দেখান।