আপনি শুনলে অবাক হবেন বা হয়তো আতঙ্কিত হবে যে কালোজিরেকে আরো চকচকে করে তুলতে ব্যবহৃত হচ্ছে পোড়া মোবিল সাথে অনেক ক্ষতিকারক রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে প্রতিদিন ধনেগুড়োর রং আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে। এই ভয়ানক ঘটনাটি ঘটেছে পোস্তার বাজারে। বেশ কদিন আগে কলকাতা পুলিশ এক অভিযান চালিয়ে মশলা বাজেয়াপ্ত করে এবং কলকাতা পুলিশের এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ এক চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট হাতে পেয়েছে। এরপরই বড়বাজার থেকে জনা পাঁচেক অভিযুক্তকে। গতকাল আদালতে তাদের পেশ করা হয়েছে।
কালোজিরে পোড়া মোবিলে পালিশ হচ্ছিলো : এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ জানিয়েছে যে প্রথমে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল পোস্তা এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় হানা দিয়ে। ধৃতদের নাম মদন প্রসাদ এবং সত্য রঞ্জন বিশ্বাস হয়। বাকিদের মধ্যে মদন প্রসাদ হলো লরি চালক। রাতে একই জায়গায় আবার হানা দেয় অফিসাররা তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন গ্রেফতার করা হয় তিন ব্যবসায়ীকে। ওই তিন ব্যবসায়ীর নাম ইন্দ্রজিৎ সরকার, অমৃতলাল সরকার, বিকাশ চন্দ্র মন্ডল। এদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে মশলায় ভেজাল মেশানোর।
নদিয়ার নাজিরপুর থেকে নিম্নমানের রাসায়নিক মেশানো এই মশলা পোস্তার মশলা বাজারে বিক্রি করার জন্য নিয়ে আসা হতো তদন্ত মারফত জানা গিয়েছে। এই ভেজাল মশলা মজুত করে বাজারের বিভিন্ন জায়গায় পাঠিয়ে দিত সেখানে বেশ কিছু ব্যবসায়ীরা।ইবির গোয়েন্দাদের কাছে গত অক্টোবর মাসের প্রারম্ভে গোপন সূত্রে ভেজাল মশলার রমরমা প্রকাশ্যে এসেছিল। এরপরই পোস্তা এলাকায় এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের গোয়েন্দারা অভিযান চালিয়ে 222 বস্তা কালোজিরা এবং 55 বস্তা ধনে গুঁড়ো বাজেয়াপ্ত করেন।
এরপর সেই পরীক্ষার জন্য পাঠানো বাজেয়াপ্ত করা মশলার নমুনা হয়। পরীক্ষায় গোয়েন্দাদের হাতে রিপোর্ট আছে যে কালো জিরে চকচকে এবং আকর্ষণীয় করতে পোড়া মোবিল দিয়ে পালিশ করা হচ্ছিল। এই পোড়া মোবিল দিয়ে পালিশ করলে আপনিও বুঝতে পারবেন না কোনও ভেজাল মেশানো।