বলা হয় প্রেমের কোন বয়স হয় না। আর এই কথা সবথেকে বেশি যদি প্রযোজ্য হয় তাহলে এই বৃদ্ধার জন্য। নাম আইরিস জোনাস। বয়স ৮২ বছর। যে বয়সে নাতি নাতনীদের নিয়ে বাকিটা সময় কাটায় সেই বয়সে তিনি তার ৩৯ বছর বয়সী স্বামীকে নিয়ে নতুন করে সংসার পাতছেন। শুধু তাই নয়, পৃথিবীর সামনে নিজের ভালোবাসা দেখাতেও পিছিয়ে নেই এই বৃদ্ধা। তিনি জানিয়েছেন যে ৩৬ বছর বয়সী স্বামীর কাছ থেকে দূরে থাকতে তিনি মোটেই পছন্দ করেন না।
দ্য সান-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৮২ বছর বয়সী আইরিস জোনস ২০২০ সালে মিশরের বাসিন্দা মোহাম্মদকে বিয়ে করেছিলেন। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বয়সের ব্যবধান ছিল ৪২ বছর। বয়সের ব্যবধানের কারণে এই বিয়েটি শিরোনামে এসেছিল এবং তাদের পিডিএও সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়ে যায়।
আইরিস জোনসের ২০১৯ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে ৩৬ বছর বয়সী মোহাম্মদের সাথে পরিচয় হয়। এরপর আস্তে আস্তে দুজনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে। মাত্র এক বছর পরই তাদের বিয়ে হয়। তারপর থেকে, আইরিস তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তার ৩৬ বছর বয়সী স্বামী মোহাম্মদ সম্পর্কে নানা আপডেট দিতে থাকে। তিনি প্রায়ই তার পোস্টে স্বামী মোহাম্মদের খোলাখুলি প্রশংসা করেন।
সম্প্রতি একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে তিনি জানিয়েছেন যে তিনি তার স্বামীর থেকে দূরত্ব সহ্য করতে পারছেন না। প্রসঙ্গত মোহাম্মদ এক মাস যাবৎ মিশরে ছিলেন এবং ব্রিটেনে তার ৮২ বছর বয়সী স্ত্রী তাকে দেখার জন্য উন্মুখ ছিলেন।
আইরিস জোনাস বলেন যে প্রেমে তোমার চেহারা কোন ব্যাপার না। তার স্বামীও তাকে তার মতো করেই পছন্দ করে। অন্যদিকে, তার স্বামী মোহাম্মদও কায়রোতে ফ্লাইটে ওঠার সময় তার চেয়ে ৪৬ বছর বেশী বয়সী স্ত্রীর জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক আবেগ ভরা পোস্ট লিখেছেন।
প্রসঙ্গত মোহাম্মদ ও আইরিস গত বছরের আগস্টে ভিসার জন্য আবেদন করেছিলেন, কিন্তু এখনও সেটি তারা পাননি। তারা আশা করছে যে আগামী নভেম্বরের মধ্যে মোহাম্মদ একটি স্বামী-স্ত্রীর বসবাসের জন্য ধার্য ভিসা পাবেন এবং স্থায়ীভাবে ইউনাইটেড কিংডমে চলে যাবেন। প্রসঙ্গত ৪৬ বছর বয়সের ব্যবধান থাকা স্বামী স্ত্রীর প্রেমের গল্প সম্পর্কে লোকেরা প্রায়শই নানা প্রতিক্রিয়া দিয়ে থাকে। কেউ কেউ বলে যে মোহাম্মদ এই সব করেছে শুধুমাত্র বৃদ্ধা মহিলার টাকার জন্য, অন্যদিকে দম্পতি দাবী করেন যে তারা একে অপরকে মনেপ্রাণে ভালবাসে।