অ্যালোভেরা বা ঘৃতকুমারী , হাজারো গুণ রয়েছে এই ভেসজটি তে তা মোটামুটি প্রায় সকলেরই জানা। ত্বকের হারানো ঔজ্জ্বল্য থেকে নানা শারীরিক সমস্যা সমাধান , সবেতেই ম্যাজিকের মতন কাজ করে অ্যালোভেরা। এখন অনেকেই নিজের বাড়িতে অ্যালোভেরা গাছ রাখতে দেখা যায়। এর রয়েছে প্রচুর গুণ। ত্বকের নানা সংক্রমন থেকে শরীরের বিভিন্ন সমস্যা , নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস সেবনে এই ৮ টি সমস্যা সহজেই রাখা যাবে দূরে। কোন কোন রোগে কাজ করবে অ্যালোভেরা জেনে নিন…
১) কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে
অ্যালোভেরার জুস শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এটি দূষিত রক্তকে দেহ থেকে বের করে দেয় , দেহের টক্সিন কমাতে সাহায্য করে। এবং হৃদযন্ত্রকে সুস্থ ও সতেজ রাখতে সাহায্য করে।
২) শুস্ক চুলের সমস্যা দূরীকরণে
অ্যালোভেরা ভীষণ কাজে দেয় চুলের শুস্ক ভাব দূর করতে। অ্যালোভেরার নির্যাসের সাথে আমলকির রস মিশিয়ে চুলে লাগালে চুলের শুস্ক ভাব দূর হয়, উজ্জ্বলতা বাড়ে। চুলের কন্ডিশনার হিসেবেও ভালো কাজে দেয় অ্যালোভেরা।
৩) দাঁত এবং মাড়ির সমস্যা নিবারণে
অনেকেই দাঁত এবং মাড়ি নিয়ে নানা সমস্যায় ভোগেন। সেই সমস্যা নিবারণে অ্যালোভেরার জুস ভীষণ উপকারী। এর পাশাপাশি মাড়ির ইনফেকশন নিবারণে সহায়তা করে।
৪) হজম শক্তি বৃদ্ধি করতে
হজম শক্তি বাড়াতে অ্যালোভেরার জুসের জুরি মেলা ভার। অ্যালোভেরার জুসে রয়েছে অ্যান্টি- ইনফ্লামেটরি উপাদান যা পেট ঠাণ্ডা রাখে এবং গ্যাসের সমস্যা দূর করে। ডাইরিয়া রোগর প্রতিরোধেও দারুন কাজ করে অ্যালোভেরার রস।
৫) প্রদাহ নিবারণে
অ্যালোভেরায় রয়েছে গ্লুকোমেনন নামে এক ভীষণ উপকারী গ্রোথ হরমোন। আগুন, সূর্যের তাপে টান , ত্বকে ছ্যাঁকা, পোড়ার ইত্যাদি প্রদাহ নিরাময় করতে পারে অ্যালোভেরা।
৬) ডায়াবেটিস দূরীকরণে
যারা রক্তে শর্করার সমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য অ্যালোভেরার রস ভীষণ উপকারি। নিয়মিত অ্যালোভেরার রস খেলে রক্তে শর্করার পরিমাণ কম থাকে এবং ডায়াবেটিসও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
৭) দাগ , ছোপ দূরীকরণে
ত্বকে ব়্যাশ, রোদে পোড়া দাগ বা স্ট্রেচ মার্কস দূর করতে অ্যালোভেরার গুরুত্ব রয়েছে। অ্যালোভেরার নির্যাস দাগ ছোপ দূরীকরণে কার্যকরী।
৮) ক্লান্তি দূর করে
দেহের ক্লান্তি দূর করতে নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস সেবন ভীষণ কার্যকরী। নিয়মিত অ্যালোভেরার জুস সেবনে শরীরের ক্লান্তি দূর হয় , শরীর সতেজ থাকে।