বৈভবের বোনের ছেলে হয়নি। বোনের দুঃখ ভাইকে খুব কষ্ট দিত। কিভাবে বোনের সমস্যার সমাধান করা যায় ভাবতে ভাবতে সে শেষ পর্যন্ত যে সিদ্ধান্ত নেয় তা বেশ চাঞ্চল্যকর। সে দেড় বছরের এক শিশুপুত্র কে আড়াই লাখ টাকায় কিনে আনে। উত্তরপ্রদেশের হাপুরের গড়মুক্তেশ্বর গঙ্গা ঘাট থেকে শিশুটিকে অপহরণ করা হয়। এখন পুলিশ শিশুটিকে নিরাপদে উদ্ধার করেছে এবং ৬ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
দেড় বছরের শিশুটিকে নিরাপদেই পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শিশুটিকে অপহরণের পর কাশীপুরে (উত্তরাখণ্ড) বসবাসকারী একটি পরিবারের কাছে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি করা হয়। এ ঘটনায় অপহরণকারীসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনের খোঁজ চলছে।
আসলে, গত ১৪ই আগস্ট, ২০২২-এ, গড়মুক্তেশ্বরের ব্রিজঘাট গঙ্গা ঘাটের কাছে একটি কুঁড়েঘরে থাকা রাখি নামের এক মহিলার দেড় বছরের ছেলে রাজকুমার হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে যায়। কুঁড়েঘরে ছেলেকে না পেয়ে রাখি তাকে সর্বত্র খোঁজে, কিন্তু ছেলে রাজকুমারের কোনো খোঁজ পাওয়া গেল না। গড়মুক্তেশ্বর কোতয়ালিতে ছেলে অপহরণের অভিযোগ করেন রাখি।
মহিলার অভিযোগকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে ছোট্ট শিশুটির খোঁজে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। শিশুটি উত্তরাখণ্ডের কাশী জেলায় রয়েছে বলে খবর পায় তারা। কাশিপুর জেলার উধম নগর থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিশু অপহরণ, ব্যবসার অভিযোগে ৩ অপহরণকারীসহ ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। অভিযুক্তদের মধ্যে একজনকে এখনও পুলিশ ধরতে পারেনি, যার খোঁজ চলছে।
গোটা বিষয়ে গড়মুক্তেশ্বর থানার ইনচার্জ অভিনব পুন্ডির বলেন, শিশু অপহরণ, বিক্রি ও কেনার অভিযোগে তিন অপহরণকারীসহ ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। একজন পলাতক রয়েছে যার খোঁজ চলছে। কাশীর উধম নগর থেকে শিশুটিকে নিরাপদে উদ্ধার করা হয়েছে।
বোনের ছেলে হয়নি, তাই এই কাজ করেছে:
পুলিশ জানিয়েছে, শিশুটিকে যে ব্যক্তি কিনেছে সেই বৈভব শর্মার বোনের ৪টি মেয়ে রয়েছে। বোন একটা ছেলে চেয়েছিল। বোনের ইচ্ছা পূরণের জন্য বৈভব ভাই বিপিনকে এ কথা জানায়। এরপর বিপিন রোহতাস, অবধেশ এবং ওম দত্তকে শিশুর ব্যবস্থা করতে বলেন। তিনজন মিলে গঙ্গার ঘাট থেকে দেড় বছরের শিশুটিকে অপহরণ করে আড়াই লাখ টাকায় শিশুটিকে বৈভবের কাছে বিক্রি করে দেয়।
মা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছে:
পুলিশ বাচ্চাটির মা রাখীকে তার সন্তান খুজেঁ পাওয়ার কথা জানালে তিনি থানায় পৌঁছান। ছেলেকে দেখে রাখির চোখে জল। রাখি বলেন, শিশু নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ নথিভুক্ত করার পর ৮ দিন পর্যন্ত আমরা কোনো তথ্য পাইনি। আমার বাচ্চা আমি ফিরে পেয়েছি। এজন্য পুলিশের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। আমি পুলিশকে অনেক ধন্যবাদ জানাই