অদ্ভুত ভালোবাসার এক চমকপ্রদ কাহিনী সামনে এসেছে মধ্যপ্রদেশের ছতরপুর জেলার থেকে। জানা গেছে বিয়ের ৩৫ বছর অতিক্রান্ত করার পর ২০ বছরের এক যুবকের হাত ধরে পালিয়ে গিয়েছেন সাত সন্তানের জননী। স্ত্রী পালিয়ে যাওয়ার পর ক্ষুব্ধ স্বামী তাকে খুঁজে বের করার জন্য প্রশাসনের কাছে আবেদন করছেন। অন্ধ প্রেমের এই ঘটনা চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে মধ্যপ্রদেশের ছতারপুরে। প্রেমে পাগল ৫০ বছর বয়সী ওই মহিলা তার স্বামী ও ৭ সন্তানকে রেখে ২০ বছর বয়সী প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছেন। মহিলার স্বামী ও চার সন্তান এসপি অফিসে এসে এই ঘটনা বিস্তৃত বর্ণনা করেন।
হরিমোহন সেন (বয়স ৫৫ বছর) কালেক্টরেট এবং এসপি অফিসে পৌঁছে বলেছিলেন যে ৩৫ বছর আগে তার সাথে সঞ্জু সেনের সাথে বিয়ে করেছিলেন। স্ত্রী সঞ্জু বর্তমানে ৫০ বছর বয়সী। বিবাহিত জীবনে দুজনের সাত সাতটি সন্তানও রয়েছে। যার মধ্যে তিন মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে। আর দুই মেয়ে ও দুই ছেলে বাবা-মায়ের সাথেই থাকে এবং সংসার চালাতে সহায়তা করে তাদের।
জানা গেছে যে এই গৃহবধূ সম্প্রতি সাতাই থানার এলাকার হিম্মতপুরা পঞ্চায়েতের গ্রাম হিম্মতপুরা পঞ্চায়েতের চাদেরানপুরওয়ায় চাষের ক্ষেতে ফসল কাটতে গিয়েছিলেন, সেই সময় তার পরিচয় হয় ২০ বছর বয়সী মহেশ সেনের সাথে। সেখানে দুজনের মধ্যে প্রণয় হয় বলে জানা গিয়েছে। ফসল কাটা শেষ হলে সেই ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যায় ওই নারী। তার মা পলাতক হওয়ার পর, তার ছেলেরা মহেশ সেনের বাড়িতে যায় এবং তার পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করে। অভিযোগ তখন মহেশ সেনের মা তাদের কথা শুনে মহিলার ছেলেদের তাড়িয়ে দেয়।
মহিলার স্বামী মনমোহন ও সন্তানের ভাষ্যমতে, জমিতে ফসল কাটার সময় তাদের মা সাড়ে তিন বস্তা গম ও আধা বস্তা তিল মজুরি হিসেবে পেয়েছিলেন এবং কিছু নগদ টাকাও পেয়েছিলেন। মহিলা পালিয়ে যাওয়ার আগে শস্য বিক্রি করে টাকা নিয়ে যান। এমনকি ঘরের থাকা নগদ টাকাও সাথে নিয়ে পালিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা এখন সব মিলিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
স্ত্রী পালানোর পর উত্তেজিত স্বামী মঙ্গলবার সাতাই থানার পাড়িয়া ফাঁড়িতে পৌঁছে স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগের আবেদন জানিয়েছেন। ফাঁড়িতে তার আবেদন নেওয়া হলেও রিসিভিং দেওয়া হয়নি, এরপর ২৫ এপ্রিল তিনি পরিবারসহ ছতরপুর এসপি অফিসে আসেন, এখানেও নির্যাতিতার অভিযোগের আবেদন নেওয়া হলেও তার রিসিভিং দেওয়া হয়নি।
ভুক্তভোগী স্বামী জানান, এখন আমার পরিবার, আমার সন্তানেরা স্ত্রীর খোঁজে কান্নাকাটি করে জায়গায় জায়গায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাই আমি প্রশাসনের কাছে আমার স্ত্রীকে খুঁজে বের করে আমাকে ফিরিয়ে এনে অভিযুক্ত মহেশ সেনকে গ্রেপ্তার করে কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছে।