বছর দুয়েক আগে করোনার দাপটে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল বিশ্ব। গৃহবন্দি হয়ে পড়েছিল গোটা পৃথিবী। দীর্ঘদিন কোয়ারেন্টাইনে থাকতে হয়েছে বিশ্ববাসীকে। অতিমারির জেরে সারাবিশ্বে কোটি কোটি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। অবশেষে ভ্যাকসিন আবিষ্কার হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। নিউ নর্মাল সূত্র মেনে স্বাভাবিক হয়েছে বিশ্ব। কিন্তু, আবারও দাপট দেখাতে শুরু করেছে করোনাভাইরাস। কোভিডের নয়া Omicron Variant এর জেরে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। ভ্যাকসিন ভাইরাসের নয়া রূপের ক্ষেত্রে আদৌ কার্যকরী কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এই বিপদ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছেন সকলেই। কিন্তু, গত দু’ বছরে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে, তা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। এমনটাই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা। খবর এই সময় ডিজিটাল -এর।
খুব দ্রুতগতিতে মেরু প্রদেশের বরফ গলতে শুরু করেছে, এই তথ্য কারও অজানা নয়। এতে শুধু জলস্তর বাড়বে তা নয়। বরং বরফ গলতে থাকলে তার নীচে চাপা পড়ে যাওয়া ভাইরাসরাও সক্রিয় হতে শুরু করবে বলে দাবি করেছেন ভূতত্ত্ববিদ সুজীব কর। তাঁর কথায়, ‘প্রশান্ত মহাসাগর এবং অ্যান্টার্টিকার বরফের তলায় প্রায় ৫৫ হাজার বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সুপ্ত অবস্থায় রয়েছে। ক্লাইমেটিক চেঞ্জ হলে এরা প্রত্যেকেই ধীরে ধীরে সক্রিয় হতে শুরু করবে।’
তাঁর সংযোজন, ‘এখনই তো দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস নিজেদের রূপ বদলাচ্ছে। তা পরিবেশগত পরিবর্তনের ফলেই হচ্ছে। অর্থাৎ এটি ক্লাইমেটিক ইম্প্যাক্ট। এই যে Covid -এর নয়া Omicron Variant সৃষ্টি হয়েছে, সেটাও পরিবেশের চরিত্র বদলের কারণেই। আসলে পরিবেশের চরিত্র বদল হলে ভাইরাস তার নেচার বদলায়। বারবার সে প্রসিড করার চেষ্টা করছে। ভাইরাসের তো এটাই বৈশিষ্ট্য যে সে তার প্রকৃতি পালটে ফেলতে পারে। ভাইরাস বারবার প্রসিড করার চেষ্টা করছে। আর সে ক্লাইমেটের দ্বারা বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। সেই অনুযায়ী সে নিজের রূপ বদলে ফেলছে। এটাই তো হয়।’
২০১৯ সালে লন্ডনের নেচার পত্রিকাতেও লেখা হয়েছিল, প্রশান্ত মহাসাগরের স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মধ্যেও বিভিন্ন ভাইরাসঘটিত রোগ হচ্ছে। সেক্ষেত্রেও বলা হয়েছিল, Arctic Environment -এর পরিবর্তনের জেরে ওই ঘটনা ঘটছে।