বর্তমান সময়ে অনেকেই বিবাহিত হয়েও অতিরিক্ত বৈবাহিক সম্পর্ক তৈরি করেন। এই ধরনের অনেক খবর সামনে আসে যেখানে কেউ তাদের সঙ্গী থাকতেও বাইরে অন্য কোনও মহিলা বা পুরুষের সাথে জড়িয়ে যান। সম্প্রতি এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে। একজন ব্যক্তি তার গল্পটি শেয়ার করেছেন এবং বলেছেন যে কীভাবে বিষয়টি তার পক্ষে এক জটিল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।
ওই ব্যক্তি বলেন, বিবাহিত হয়েও জিমের এক মহিলার সঙ্গে আমার পরকীয়া চলছে। কিন্তু এখন সে আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে এবং হুমকি দিচ্ছে যে, আমি যদি তাকে টাকা না দিই, তাহলে সে আমার স্ত্রীকে সব কিছু বলে দেবে। চলুন জেনে নিই পুরো বিষয়টি কী?
লোকটি বলে যে একদিন আমি জিমে ওয়ার্ক আউট করার সময় মহিলা উপস্থিত ছিল। সাধারণ কথাবার্তা চলা কালীন স্পেন সম্পর্কে কথা বলছিলাম এবং হঠাৎ সে আমাকে একটি নতুন রেস্তোরাঁর কথা বলে এবং বলে যে আমাদের এখানে যাওয়া উচিত। আমি এটা শুনে খুব খুশি হই। প্রসঙ্গত লোকটির বয়স ৫১, এবং তার বান্ধবীর ৩৯ বছর, এবং তার স্ত্রী ৪৯ বছরের ছিলেন। তাদের সন্তান আছে। ওই ব্যক্তি জানান, আমাদের বিয়েতে সবকিছু ভালোই চলছিল। কিন্তু তা সত্ত্বেও আমি সেই মহিলাকে বেশ পছন্দ করলাম এবং সে আমার বান্ধবী হয়ে গেল। আমরা দুজনে একসাথে আড্ডা দিতাম এবং মজা করতাম, আমরা বাইরে যেতাম এবং একসাথে অনেক উপভোগ করতাম। আমাদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্কও ছিল।
কিন্তু করোনার সময় প্রথম লকডাউন সবকিছু বদলে দেয়। আমি আমার পরিবারের সাথে বাড়িতে আমার অনেক সময় কাটাতে বাধ্য হয়েছিলাম। লোকটি বলে যে আমার স্ত্রী খুব সুন্দর এবং দয়ালু প্রকৃতির এবং আমরা অনেক বছর ধরে একে অপরের সাথে সময় কাটানোর সুযোগ পাইনি। লকডাউন সেই সুযোগ এনে দেয়।
লোকটি বলেন, “এই সময়ে আমি আমার স্ত্রীর খুব কাছাকাছি আসি কিন্তু এর কারণে আমার বান্ধবীর ভীষণ খারাপ লাগতে শুরু করে। একদিন আমি আমার ফোনে আমার গার্লফ্রেন্ডের কাছ থেকে একটি মেসেজ পেলাম যেখানে বলা হয়েছে, ‘আশা করি আপনি আপনার রোমান্টিক হাঁটতে বেরোনো উপভোগ করছেন।’ লোকটি জানায় এমনটা লেখার কারণ, আমার স্ত্রী এবং আমি অনেক বছরের পর একে অপরের হাত ধরে হাঁটতে গিয়েছিলাম যেখানে আমার বান্ধবী আমাদের দেখেছিল। এর পর পরিস্থিতি খারাপ হতে থাকে। আমার বান্ধবী আমাদের পার্কিং এলাকায় তার গাড়ী পার্কিং শুরু। একই সঙ্গে আমার স্ত্রীর ছবি তুলে আমাকে পাঠাতেন। যেটিতে তিনি আমার স্ত্রীর জীবনযাত্রা এবং ড্রেসিং সেন্স নিয়ে অনেক সমালোচনা করতেন।
লোকটি বলে যে আমি এতে এতটাই বিরক্ত হতে থাকি যে আমি আমার সম্পর্ক শেষ করার চেষ্টা করি কিন্তু আমার বান্ধবী বলে যে তাকে ৬০০০ পাউন্ড দিতে হবে। লোকটি বলে, “আমার কাছে এত টাকা নেই। আর এত টাকা দিলেও আমার স্ত্রী বিষয়টি জানতে পারবে। তাই এখন কী করব বুঝতে পারছি না, বড় ভুল করেছি।” ওই ব্যক্তি বলেন, “এসব ভাবতে ভাবতে আমি এতটাই মন খারাপ করতে শুরু করেছি যে আমার ওজনও কমতে শুরু করেছে। আমার মনে অনেক কিছু চলছে এবং এখন আমার স্ত্রীও আমাকে নিয়ে চিন্তিত। “
এই সমস্যা শুনে রিলেশনশিপ এক্সপার্টরা বলেছেন,’ এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই যে এই মুহূর্তে আপনার ওপর অনেক চাপ রয়েছে। এই মহিলা আপনাকে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করছে এবং হুমকি দিচ্ছে। এমতাবস্থায় এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের একমাত্র উপায় হল আপনার স্ত্রীকে সবকিছু বলা। এটা ভাবতে বেশ অসম্ভব শোনালেও আপনার স্ত্রী যদি আপনার মুখ থেকে পুরো সত্যটি জানতে পারেন তবে আরও ভাল হবে। আপনার গার্লফ্রেন্ডের মন যদি খুব অস্থির হয়, সে হয়তো একদিন রেগে গিয়ে আপনার স্ত্রীকে সব বলে দেবে। আপনার স্ত্রী তার আগেই সবটা জানতে পারলে, আপনারা দুজনেই ভবিষ্যত নিয়ে ভাবতে পারেন, তবে আপনি সত্য কথা না বলা পর্যন্ত এই মহিলার হাত থেকে মুক্তি পাবেন না।