দিনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ন খাবার হল প্রাতরাশ। সারা রাত খালি পেটে থাকার পর দীর্ঘ সময়ের উপোস ভাঙ্গতে প্রয়োজন সুষম আহারের। কিন্তু শুধু খালি পেট ভোটেই নয় এই সময় কি খাচ্ছেন তার উপর নির্ভর করে সারাদিনের পরিপাক ক্রিয়া। উল্টোপাল্টা খাবার থেকেই দেখা দেয় গ্যাস-অম্বল, হজম না হওয়ার মতো নানাবিধ সমস্যা। কেননা খালি পেটে সঠিক খাবারই আমাদের গোটা দিনের হজম প্রক্রিয়া ঠিক রাখে। বলা যায় শরীর সুস্থ রাখার চাবিকাঠি হল দিনের প্রথম খাবার। দেখে নিন, এমন ৫টি খাবার যা দিয়ে দিনের শুরু করলে মুক্তি মিলবে যেকোনো হজমের সমস্যা থেকে।
গরম জল এবং মধু:
দিনের শুরুতে খালি পেটে লেবু আর মধুর জল অনেকেই খান। কিন্তু শুধু যদি লেবু খেতে কষ্ট হয় তাহলে শুধু মধু দিয়ে গরম জল খেল তারও উপকার অনেক। মধুর মধ্যে রয়েছে সমস্ত দরকারী মিনারেলস, ভিটামিন, এমনকি উৎসেচক। যা শরীরকে ভেতর থেকে সাফসুতরো রাখে টক্সিন বের করে দিয়ে। এমনকি মেটাবলিজম রেটও বাড়ে। এতে যাবতীয় শারীরিক প্রক্রিয়া ঠিক থাকে।
মরশুমী ফল:
ভরা পেটে ফল! এই প্রবাদটি বহুল প্রচলিত হলেও খালি পেটে ফলও ভীষণ উপকারি। ফলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, ফাইবার এবং রস। মরশুমের বিভিন্ন ফল পুষ্টিতে পরিপূর্ণ। তাই সকালবেলা খালি পেটে কলা, আপেল, ন্যাশপাতি , পেঁপে ইত্যাদি ফল শরীরের ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে দেয় এনার্জি। এতে ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে আর সারাদিন কাজের পরও ক্লান্তি আসে না।
আমন্ড:
আমন্ড বাদামে রয়েছে মধ্যে প্রচুর দরকারী খনিজ যেমন ম্যাগনেসিয়াম, ওমেগা-৩, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড , ভিটামিন ই, প্রোটিন, ফাইবার ইত্যাদি। তবে সবসময় আমন্ড আগের দিন রাতে ভিজিয়ে রেখে তবেই খাবেন। এতে হজমে সুবিধা হবে। তাই সকালে খালি পেটে আমন্ড খান।
ডিম:
ডিমের পুষ্টিগুণ অনেক। আর ডিম সুষম খাদ্য। তাই খালি পেটে একটা ডিম সেদ্ধ খেতে পারলে শরীরের প্রোটিনের চাহিদা সকাল সকালই পূরণ হয়। এমনকী প্রোটিন যদি সকালের শুরুতে শরীরে পরে তাহলে সারাদিন খুব বেশি খিদেও পাবে না। এতে ফ্যাটও ঝরে তাড়াতাড়ি। তবে মাথায় রাখবেন যাদের প্রেশার , কোলেষ্টরোরল রয়েছে কুসুম বেশি না খাওয়াই ভালো।
ওটমিল:
ব্রেকফাস্টে ওটস খেলে শরীরের পরিপাক ক্রিয়া খুবই ভালো থাকে। ওটস দুধ দিয়ে বা টক দই দিয়ে খেতে পারেন। পরিজ বানিয়েও নিতে পারেন তা শরীরের জন্য ভালো। ওটস গরম জলে ওটস আর সাথে পাকা কলা দিয়েই বানাতে পারেন পরিজ। এর ফলে শরীরে হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের মাত্রা থাকবে নিয়ন্ত্রণে। পাশাপশি ওটস পরিপাক ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে।