ভ্রূণ হত্যা উচিত নয়। ভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে অনেক মানুষ। এমনই এই গর্ভপাত বিরোধী আন্দোলনকারী মহিলার নিজের বাড়ি থেকেই উদ্ধার হয়েছে পাঁচটি ভ্রূণ! এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ চর্চা শুরু হয়েছে আমেরিকার ওয়াশিংটনে।
পুলিশ জানিয়েছে যে , লরেন হ্য়ান্ডি (Lauren Handy) ওই বাড়ির মালিকের নাম। ক্যাথলিক বিদ্রোহী বলেও দাবী করেছেন ওই মহিলা। লরেন Progressive Anti-Abortion Uprising (PAAU) নামের এক ভ্রূণ হত্যা বিরোধী সংগঠনের নেত্রী। এই সংগঠনটি গর্ভপাত মানেনা এবং তার বিরোধিতা করে। ওই মহিলা অনেক আন্দোলনও করেছেন। এরমধ্যেই তদন্ত শুরু হয়েছে এই ঘটনার। কি করে লরনের বাড়িতে ভ্রূণ গুলি আসলো তার তদন্ত করা হচ্ছে।
ক্রমশ জটিল হয়ে যাচ্ছে ঘটনাটি। পুলিশ ইতিমধ্যেই নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে লড়েনকে। ওই তরুণী সংবাদমাধ্যম কে জানিয়েছেন যে , ” কী রয়েছে বাজেয়াপ্ত হওয়া ব্যাগ এবং পাত্রের মধ্যে, মানুষ যখন তা জানতে পারবে, তারা ভয় পেয়ে যাবে তখন!” লরেনের ভূমিকা ঠিক কী গোটা ঘটনায়, তা আপাতত স্পষ্ট নয়। তবে, লরেনকে যে পাকড়াও করা হয়েছে ঘটনাস্থল থেকে এবং আইন বিভাগের দুই আধিকারিক ওই তরুণীর ওই বাড়িতেই থাকা প্রমান করেছেন।
আশান বেনেডিক্ট ওয়াশিংটন ডিসি পুলিশের প্রধান এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা কোনও রকম অপরাধের প্রমান পাইনি এখনও। কিন্তু, এই ভ্রূণগুলি ওখানে কীভাবে পৌঁছল, সেটাই বোঝা যাচ্ছে না।”
ভ্রূণ-কলা এবং অঙ্গের একটি ব্যাঙ্ক রয়েছে সিয়াটেলের ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ে। লরেন আরও দাবী করেছেন যে , সেই ব্যাঙ্কে তিনি নাকি ঢোকার অনুমতি পেয়েছিলেন। অথচ সেখানকার কতৃপক্ষ জানিয়েছে যে সেখান থেকে ভ্রূণ চুরি হয়নি।
সূত্র থেকে জানা গেছে যে , ওয়াশিংটনের একটি গর্ভপাত কেন্দ্রে ২০২০ সালের ২২ অক্টোবর নাম ভাঁড়িয়ে ঢোকার চেষ্টা করেছিলেন লরেন। তিনি জানিয়েছিলেন, হ্য়াজেল জেনকিন্স তাঁর নাম এবং তিনি গর্ভপাত করাতে চান। কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সেই কেন্দ্রে লরেন যখন গিয়ে পৌঁছন, অনেকে ছিলেন তাঁর সঙ্গে। ওখানে থাকা সবাই ওই ক্লিনিকে জোর করে ঢুকতে চেয়েছিল আর তাদের আটকাতে গিয়ে একজন খুব আহত হয়েছিলেন।
লরেন-সহ মোট নয়জনের বিরুদ্ধে সেই ঘটনায় নির্দিষ্ট ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। দোষী প্রত্যেককে সর্বোচ্চ এক বছরের কারাবাস এবং ৩ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার জরিমানা দিতে হতে পারে যদি প্রমাণিত হয়।