উত্তর প্রদেশের লখনউতে ঘটে গেল এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা। সেখানকার এক যুবক প্রথমে তার ৪ বছর বয়সী ভাইপোকে অপহরণ করে, তারপর তাকে কানপুরে নিয়ে যায় এবং সেখানে শ্বাসরোধ করে বাচ্চাটিকে হত্যা করে। এরপর লাশ ফেলে দেওয়া হয় গঙ্গা নদীতে। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ও এসডিআরএফের দল মৃতদেহের খোঁজ শুরু করেছে।
রাজধানী লখনউতে ৪ বছরের নির্দোষ শিশুকে অপহরণের পর নৃশংস খুনের ঘটনা সামনে এসেছে। এরপর লাশ ফেলে দেওয়া হয় গঙ্গা নদীতে। এই অপহরণ কেউ নয়, বাচ্চাটির বাবার খুড়তুতো ভাই করেছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত তার খুড়তুতো ভাইপোকে কানপুরে নিয়ে গিয়েছিল এবং সেখানে সে এই অপরাধ করেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত কাকাকে আটক করেছে পুলিশ।
ডিসিপি ইস্ট প্রাচী সিং বলেছেন যে ৫ই সেপ্টেম্বর রবি পান্ডে চিনহাট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিযোগকারী জানিয়েছেন, কাকা বীরেন্দ্র পাণ্ডের ছেলে অমিত পাণ্ডে তাঁর ৪ বছরের ছেলে রাম পাণ্ডেকে নিয়ে কোথাও গিয়েছেন। এই অভিযোগের ভিত্তিতে, আইপিসির ৩৬৩ ধারায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, যখন অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করা হয়েছিল এবং সিসিটিভি ফুটেজ পরীক্ষা করা হয়েছিল, তখন দেখা গেছে যে অমিত পান্ডে ৪ বছরের শিশুটিকে নিয়ে কানপুরে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি শিশুটিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছিলেন এবং ছুঁড়ে ফেলেছিলেন গঙ্গা নদীতে।
খুনের আসামি:
প্রাচি সিং জানান, খুনিকে গ্রেপ্তার করে জেলে পাঠানো হচ্ছে। এ অপরাধের পেছনে পারিবারিক বিদ্বেষ ও অর্থকে দায়ী করা হচ্ছে। হত্যাকারীর খুড়তুতো ভাইয়ের কিছু আর্থিক সমস্যা ছিল যখন শিশুটির বাবা রবি পান্ডে ছিলেন যথেষ্ট বিত্তবান। টাকা পয়সা নিয়ে মনোমালিন্য এর কারণেই তিনি নিরীহকে হত্যা করেছেন।
পুলিশ আধিকারিক আরও বলেন, এসডিআরএফ দলের সহায়তায় গঙ্গা নদীতে মৃতদেহের খোঁজ করা হচ্ছে। শিশুটির লাশ এখনো উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বর্তমানে পুলিশ এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।