প্রতিটি ব্যক্তিই সুখ-সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখে থাকেন। এর জন্য নানান সাধ্য, সাধনা করেন তাঁরা। আবার লক্ষ্মীকে প্রসন্ন করার জন্য বাস্তুতে নানা উপায় সম্পর্কে জানানো হয়েছে। লক্ষ্মী প্রসন্ন হলে ব্যক্তি অগাধ ধন-সম্পত্তির মালিক হয়।
বাস্তুতে এমন কিছু বিষয় সম্পর্কে জানানো হয়েছে, যার ফলে লক্ষ্মী অপ্রসন্ন হন এবং পরিবারে নেতিবাচক শক্তি বৃদ্ধি পায় ও লক্ষ্মী ক্ষুব্ধ হন।
উল্লেখ্য পরিবারের সুখ, সমৃদ্ধি, উন্নতির জন্য সকলেই বাস্তু মেনে ঘর তৈরি করেন। রান্নাঘরে সাজসজ্জা ও বস্তু রাখার সময় বাস্তু মেনে চলা হয়। শুধু তাই নয় বাস্তু অনুযায়ী রান্নাঘরের এমন কিছু জিনিস আছে, যা শেষ হয়ে গেলে বাস্তু দোষ দেখা দিতে পারে। এই জিনিসগুলি শেষ হলে লক্ষ্মী রুষ্ট হন। এর ফলে বাড়িতে নেতিবাচক শক্তি প্রবেশ করে। আবার এর ফলে আর্থিক অনটনও দেখা যায়। তাই এই জিনিসগুলি কখনও কম হতে দেবেন না। কী এই জিনিস, জেনে নিন—
১. হলুদ
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী প্রতিটি শুভ কাজে হলুদ ব্যবহৃত হয়। জ্যোতিষ অনুযায়ী বাড়িতে হলুদ শেষ হওয়াকে অশুভ মনে করা হয়। এর ফলে কোষ্ঠিতে বৃহস্পতির দোষ সৃষ্টি হয়। রান্নাঘরে হলুদ শেষ হয়ে গেলে শুভ কাজে সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই হলুদ পুরোপুরি শেষ হওয়ার আগেই তা এনে রাখুন।
২. নুন
পরিবারের সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধির জন্য বাস্তুতে নুনের সঙ্গে জড়িত নানান উপায় সম্পর্কে জানানো রয়েছে। বাস্তু মতে রান্নাঘরে নুন শেষ হয়ে গেলে বাস্তু দোষ সৃষ্টি হয় এবং আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়।
৩. আটা
এটি রান্নাঘরের অন্যতম প্রধান সামগ্রী। বাস্তু অনুযায়ী আটা শেষ হলে মান-সম্মানে ক্ষতি হয়। তাই আটা শেষ হওয়ার আগেই তা কিনে রাখুন।
৪. চাল
পূজার্চনায় অখন্ড চাল ব্যবহৃত হয়। অনেকে চাল কম খান বলে বাড়িতে তা রাখেনও খুব কম। কিন্তু এমন ভুল করবেন না। রান্নাঘরে চাল রাখা অত্যন্ত জরুরি। চাল না-থাকলে শুক্রের দোষ সৃষ্টি হয়। এর ফলে অর্থের সঙ্গে জড়িত সমস্যা দেখা দেয়। তাই নিজের রান্নাঘরে সবসময় চাল রাখবেন।