দুই দেশের এক শহর:
বুসেনগেনইয়াম হোকারহেন শহরটি একই সাথে জার্মানি এবং সুইজারল্যান্ডের অংশ। অর্থনৈতিকভাবে জায়গাটি সুইজারল্যান্ডের অংশ এবং প্রশাসনিকভাবে জার্মানির! এটিই জার্মানির একমাত্র শহর, যেখানে সুইস ফ্রাংক প্রধান মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও এই শহরটির আরও কিছু বৈশিষ্ট্যের মধ্যে রয়েছে-
এর রয়েছে দুটি পোস্ট কোড: একটি সুইজারল্যান্ড ও অন্যটি জার্মানির।
এই শহরের অধিবাসীরা দুই দেশেরই ফোন নম্বর ব্যবহার করে।
এফসি বুসেনগেইন হলো জার্মানির একমাত্র দল, যা সুইস চ্যাম্পিয়ানশিপে খেলে।
শহর নাকি নরক:
যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে গেলেই পৃথিবীর বুকে দেখা মিলবে নরকের! এই শহরটির নামের উৎপত্তি অনিশ্চিত। নিজেদের শহরের এরকম নারকীয় ভাবমূর্তি সেখানকার বাসিন্দারা স্বতঃস্ফূর্তভাবেই বজায় রেখেছেন। সেখানে গিয়ে পর্যটকেরা অধীর আগ্রহে ‘ওয়েলকাম টু হেল’ লেখা বোর্ডের সামনে ছবি তুলে এবং স্থানীয় উপহার সামগ্রীর দোকানগুলো থেকে ৬.৬৬ ডলার দিয়ে একটি ওয়ারেন্টি দলিল কিনে নেয়, যার মাধ্যমে নরকে ১ বর্গ ইঞ্চি পরিমাণ জায়গা নিশ্চিত করে রাখা হয়।
অস্ট্রিয়ার গ্রাম, কিন্তু চীনে অবস্থিত:
শহরটিকে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। চীনের লোকেরা অবিকল যেকোনো কিছু বানিয়ে ফেলাতে যে দারুণ পটু, তা নিশ্চয়ই আর বলার অপেক্ষা রাখে না! তবে তাই বলে গোটা একটি শহরই বানিয়ে ফেলবে, সেটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও মেনে নিতে হবে। কারণ এই অসাধ্য কাজটিও তারা সাধন করেছে! দেশের গণ্ডি না পেরিয়েই দেশের ভেতরেই তারা গড়ে নিয়েছে অবিকল অস্ট্রিয়ার দৃষ্টিনন্দন গ্রাম হালস্টাট। প্রথমে গির্জাটি তৈরি করা হয়েছিলো এবং তারপর রাস্তা, যা দেখতে অবিকল অস্ট্রিয়ার হালস্টাট গ্রামের মতো। যা-ই হোক, চায়নার হালস্টাটের আবাসনের দরদাম অস্ট্রিয়ার আসল হালস্টাটের আবাসনের চাইতে তুলনামূলকভাবে কম।
এক ছাদের নিচেই শহরের গণ্ডি:
১৪ তলা বিশিষ্ট একটি ভবনই গোটা একটি শহর! স্বপ্নে নয়, বাস্তবেই আছে এমন আজব এক শহর। আলাস্কায় অবস্থিত এই শহরটির নাম হুইটিআর। একই ছাদের নিচে একটি শহর, তাই এতে কোনো সুবিধা নেই বলে ধারণা করে নিলে ভুল হবে! কারণ ১৪ তলা ভবনের এই শহরে রয়েছে সব ধরনের দোকানপাট, পুলিশ ফাঁড়ি, হাসপাতাল ও গির্জা। এই শহরটি গড়ার পেছনে উদ্দেশ্য ছিলো আর্থিকভাবে একে সচল রাখা। কারণ সেখানকার পরিবেশ প্রায় সারা বছরই বেশ শীতল থাকে। এই শহরে জনসংখ্যা মাত্র ২২০ জন।