উত্তরপ্রদেশের কনৌজে সন্দেহজনকভাবে একের পর এক কয়েক ঘণ্টার মধ্যে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে গোটা গ্রামে আলোড়ন পড়ে যায়। জেলা প্রশাসনও বিষয়টি জানতে পেরে অবাক হয়ে যায়। ওই শোকার্ত পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে পৌঁছেছেন কনৌজের ডিএম, এসপি এবং সিএমও। খাদ্যে কোনো বিষক্রিয়া থেকেই এইভাবে তিনজনেরই মৃত্যু হয়েছে বলে পরিবার ও গ্রামবাসীর ধারণা। একইসঙ্গে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আসার পর ছবি স্পষ্ট হবে বলে জানিয়েছেন সিএমও।
জানা গিয়েছে কনৌজ জেলার আটরা গ্রামে বৃদ্ধ শান্তি দেবীর ১০-১২ জনের পরিবার একত্রে বসবাস করে। সোমবার হঠাৎ করেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় শান্তিদেবীর। পরিবারের লোকজন তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই তার মৃত্যু হয়। এই ঘটনার এক ঘন্টা পরে, শান্তি দেবীর ৫২ বছর বয়সী ছেলে রমেশচন্দ্রের স্বাস্থ্যের অবনতি হলে তাকেও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে কয়েক ঘন্টা পরে তিনিও মারা যান। কিছুক্ষণ পর শান্তি দেবীর দুই বছরের নাতনি শিল্পীও বমি করতে শুরু করে। শিল্পীকে তিরওয়া মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করা হয়, যেখানে তারও মৃত্যু হয়। একের পর এক পরিবারের তিন প্রজন্মের তিন সদস্যের মৃত্যুতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
কিন্তু কাকতালীয়ভাবে তিনজনই একই দিনে অসুস্থ হয়ে পড়লো কি করে? পরিবারের সদস্যদের কথা অনুযায়ী সোমবার সকালে বাড়ির তৈরি অরহরের ডাল ও রুটি খেয়েছিলেন গোটা পরিবার এক সঙ্গে। এরপর তার স্বাস্থ্যের অবনতি হতে থাকে। তবে পরিবারের বাকি সদস্যদের কিছুই হয়নি। খবর পাওয়া মাত্রই ডিএম, এসপি এবং সিএমও সহ বহু অফিসার শান্তি দেবীর বাড়িতে পৌঁছে যান। সিএমও জানিয়েছেন, আটরা গ্রামে একই পরিবারের তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ডাল-রুটি খেয়ে স্বাস্থ্যের অবনতি হয়। পরিবারের অন্য সদস্যরাও একই অরহরের ডাল ও রুটি খেয়েছেন। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে তবেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এইভাবে তিনজনের একসাথে মৃত্যু কোন কাকতালীয় ঘটনা নাকি এর পিছনে লুকিয়ে আছে অন্য কোন রহস্য তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।