ফের ভাম বিড়াল ‘খুন’ করে তার মাংস খাওয়ার ঘটনায় ছড়াল চাঞ্চল্য। মাংস খাওয়ার জন্য একটি গন্ধগোকুল মেরে পোড়াচ্ছিল তিন যুবক। খবর পেয়েই তাদের আটক করে পুলিশ (Amta Police)। সোমবার সকালে ঘটনাটি ঘটে আমতার সোনামুই গ্রামে। খবর সংবাদ প্রতিদিনের।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোনামুই গ্রামের এক নির্জন জায়গায় তিনজন মিলে কিছু পোড়াচ্ছিল। তখনই সন্দেহ হয় স্থানীয়দের। সময় নষ্ট না করে এলাকার বাসিন্দারাই গ্রিন চেন মুভমেন্ট নামে এক পরিবেশ সংগঠনের সদস্যদের খবর দেন। তাঁরা এসে ওই তিন যুবককে চেপে ধরেন। ঘটনার আকস্মিকতায় ভয় পেয়ে যায় অভিযুক্তরা। এরপরই তারা স্বীকার করে যে গন্ধগোকুল মেরেই পোড়াচ্ছিল তারা। গোপনে এই প্রাণীরই মাংস খাওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
গ্রিন চেন মুভমেন্টের অন্যতম পরিচালক প্রদীপ রঞ্জন রীত জানান, “অভিযুক্তরা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করলে আমরা তাদের ধরে রাখি। খবর দেওয়া হয় আমতা থানা এবং বন দপ্তরে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছলে তাঁদের হাতে অভিযুক্তদের তুলে দেওয়া হয়।” জানা গিয়েছে, ওই তিন যুবক বিহারের পাটনার বাসিন্দা। বর্তমানে তারা ডানকুনি এলাকায় থাকে। হাওড়া আরবান রেঞ্জের বন দপ্তরের অফিসার নির্মল মণ্ডল জানান, গন্ধগোকুলটিকে (Civet Cat) উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ধারাল অস্ত্রও উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই তিন যুবক বুনো শুয়োর ধরার জন্য এসেছিল।
তবে এই প্রথমবার নয়, এর আগেও হাওড়া-হুগলি-সহ রাজ্যের একাধিক জেলায় ভাম বিড়াল মেরে তার মাংস খাওয়ার ঘটনা শিরোনামে উঠে এসেছে। মাংস খাওয়ার ছবি সোশ্যাল মাধ্যমে পোস্ট করায় বড়সড় শাস্তির মুখেও পড়তে হয়েছিল অভিযুক্তকে। কিন্তু এ অভ্যাস এখনও সম্পূর্ণ বন্ধ করা সম্ভব হয়নি।