ফের দিঘার (Digha) সমুদ্রে পর্যটকের মর্মান্তিক পরিণতি। স্নান করতে নেমে মৃত্যু হয়েছে নদীয়ার বাসিন্দা এক যুবকের। স্নান করার সময়ে তলিয়ে যায় সেই যুবক। শনিবার বিকেল থেকেই নিখোঁজ ছিল সে। রাতভর তাকে খুঁজে না পাওয়ার পর রবিবার সকালে ওড়িশার সমু্দ্র সৈকতে ওই যুবকের দেহ ভেসে ওঠে। যুবকের মৃতদহ শনাক্তকরনের জন্য তাঁর সাথে আসা বন্ধুদের ওড়িশায় পাঠিয়েছে দীঘা পুলিশ। এদিকে এই মৃত্যুর ঘটনা ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য।
জানা গেছে নদীয়ার কোতোয়ালি থানার এলাকা থেকে মোট ৮জন বন্ধু দল বেঁধে শনিবার দিঘায় বেড়াতে আসে। এরপর দিঘায় এসে বন্ধুরা প্রত্যেকে মিলে সমুদ্র স্নানে নেমেছিলো। জন্মাষ্টমীর কারণে শনি, রবি এবং সোমবার-টানা তিনদিনের ছুটি মিলেছে। আর সেই ছুটি কাজে লাগিয়ে অনেকেই একটু ঘুরে বেড়ানোর জন্য হাজির হয়েছে দিঘার সমুদ্র সৈকতে। বলা যায় পর্যটকের (Tourist) ঢল নেমেছে সৈকত শহর দিঘায়। এমন পরিস্থিতিতে সমুদ্রে স্নানে নেমে যুবকের সমুদ্রে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনায় ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
জানা যাচ্ছে স্নানে নেমে ঢেউয়ের ধাক্কা সামলাতে না পেরে ঋতম সাধুখাঁ নামে তাদের মধ্যে একজন সমুদ্রে তলিয়ে যায়। এরপর রাতে দীঘা থানায় ঋতমের সাথে বন্ধুরা অভিযোগ জানালে দীঘা পুলিশের তরফ থেকে খানা তল্লাশি চালানো হয়। রাতভর খোঁজাখুজি করেও সেই যুবককে খুজেঁ পায়নি পুলিশ। অনেকে ভাবছিলেন হয়তো তিনি কোনো ভাবে বেঁচে আছেন। কিন্তু রবিবার সকালে সেই ভাবনা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়। রবিবার সকাল দশটা নাগাদ ওড়িশার উদয়পুর ঘাটে প্রীতমের দেহ ভেসে ওঠে। ওড়িশার পুলিশ সেখান থেকে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এদিকে দিঘার পুলিশ ঋতম সাধুখাঁর বন্ধুদের ওড়িশাতে পাঠিয়েছে।
এই মৃত্যু কিভাবে হয়েছে তাই ঘিরে দানা বেঁধেছে রহস্য। ঋতমের বন্ধুরা পুলিশকে জানিয়েছিল যে, ঋতম স্নান সেরে উঠে পরেছে? তাহলে সে কি করে স্নানের সময় তলিয়ে গেল? নাকি অন্যসময় সমুদ্রে আবার এসে নেমেছিলেন, তখনই কি এই দুর্ঘটনা ঘটে? এখন এই সব প্রশ্নের জবাব খুঁজছে পুলিশ। তবে এমন ঘটনার জেরে পর্যটনের সময়ে দিঘার সমুদ্র সৈকতের নিরাপত্তা যে বাড়বে, তা বলাই বাহুল্য।