২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অনিল নামক এক কিশোরের অপহরণের রহস্য উদঘাটন করল গোয়ালিয়র পুলিশ। এখানকার রাণীঘাটি এলাকা থেকে মঙ্গলবার অপহৃত হওয়া ২১ বছর বয়সী অনিলকে খুঁজতে পুলিশ জঙ্গলে তল্লাশি চালাতে থাকে। ২৪ ঘন্টা পরে নিখোঁজ ছেলেটিকে শিবপুরীর হোটেলে পাওয়া যায়। তখন সে বিশ্রাম করছিল। নিখোঁজ হওয়ার পর ছেলেটি ফোনে তার অপহরণের কথা পরিবারকে জানায়। তিনি অপহরণকারীদের ডিমান্ড অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের দুই লাখ টাকার ব্যবস্থা করতে বলেছিলেন। তল্লাশির সময় শিবপুরীতে অপহৃত ছেলেটির মোবাইল লোকেশন ট্রাক করে পুলিশ। পুলিশ এসে দেখে শিবপুরীর একটি হোটেলে সে ঘুমোচ্ছে। তদন্তে জানা যায়, তার কিছু ঋণ ছিল। ঋণ মেটানোর জন্য তাই সে অপহরণের মিথ্যা গল্প তৈরি করেছিলেন। বাবার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ আদায় করে ঋণ পরিশোধ করতে চেয়েছিল ওই যুবক।
গোয়ালিয়র জেলার বেলগড়ার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বসবাসকারী ২১ বছর বয়সী অনিল ওরফে ভিন্দা প্রজাপতি একটি বেসরকারি চাকরি করেন। মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে রানীঘাটি এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ নিখোঁজ হন তিনি। কিছুক্ষণ পর সে তার পরিবারকে ফোন করে জানায় চার অস্ত্রধারী তাকে অপহরণ করেছে। তারা তাকে জঙ্গলে নিয়ে যাচ্ছে। একথা বলার পর অনিলের ফোন বন্ধ হয়ে যায়।
বাবা মুক্তিপণের জন্য ফোন পেয়েছিলেন
পরিবার অনিলকে খুঁজতে রানীঘাটে পৌঁছলে অনিলের বাইকটি সেখানে দাঁড় করানো দেখতে পায়। আতঙ্কিত পরিবার পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে অতিরিক্ত এসপি সহ শীর্ষ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে রাণীঘাটির জঙ্গলে তল্লাশির জন্য পুলিশের দল পাঠায়। এরই মধ্যে অনিলের বাবার কাছে আবার ফোন আসে, তাতে অনিল জানায়, অপহরণকারীরা আমাকে ছেড়ে দেওয়ার বদলে দুই লাখ টাকা দাবি করছে, না দিলে মেরে ফেলবে। মুক্তিপণের ডাক এলে পুলিশ প্রশাসনেও আলোড়ন সৃষ্টি হয়।
ছেলে হোটেলে বিশ্রাম নিচ্ছে
পুলিশ যখন অনিলের মোবাইল লোকেশন ট্রেস করে, তখন দেখা যায় সেটা শিবপুরির একটি হোটেলে দেখাচ্ছে। তারপর পুলিশের একটি দল শিবপুরীর উদ্দেশ্যে রওনা হয়। শিবপুরির হোটেলে পৌঁছলে অনিল ওরফে ভিন্দাকে সেখানে বিশ্রাম নিতে দেখা যায়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসা করলে সে অপহরণের ভুয়া গল্প ফেঁদেছিল। পুলিশ জানায়, অনিলের অনেক ঋণ ছিল, যা শোধ করতেই তিনি অপহরণের গল্প তৈরি করেন। এই ভাবে অনিল তার বাবার কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিতে চাইলেও তার গল্প ভেস্তে যায় পুলিশ এর মধ্যে ঢুকে পড়ায়।