এই পৃথিবীতে অদ্ভুত চিন্তাভাবনার (Wierd Thinking) মানুষের অভাব নেই। এই ধরনের লোকেরা কখনও অজান্তে না বুঝেই আবার কখনও কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে তাদের শরীরের সাথে এমন কিছু করে যা তাদের জীবনকেই বিপদে ফেলে। নিজেদের শরীরের উপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে গিয়ে এই মানুষগুলো কতটা ক্ষতি নিজেদের করে দিতে পারে তা ভেবেও দেখেন না। এমনই কিছু করেছেন ইন্দোনেশিয়ার (Indonesia) এক ব্যক্তি যিনি নিজের গোপনাঙ্গে প্রায় ২ মিটার লম্বা নাইলনের সুতো ঢুকিয়েছিলেন।
আসলে এই ব্যক্তি যে কারণে এমনটা করলেন তাও অবাক করার মতো। নিউইয়র্ক পোস্টে প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝবয়সী এই ব্যক্তি অত্যন্ত আশ্চর্যজনক কাজ করেছেন। এই ব্যাক্তি তার মানসিক অসুস্থ মায়ের সাথে থাকে। হঠাৎ এইভাবে একদিন সুতো পুরুষাঙ্গে লাগানোর পর তার হাল বেহাল হয়ে গেল। যার ফল ভুগতে হলো তাকে।
কেন এমন করলেন?
মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে, এই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি তা গোপন রাখা হয়েছে। যদিও তিনি কেন এমন করলেন তা নিশ্চিতভাবে প্রকাশ করা হয়েছে। হাসপাতালে গিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়ার পর কিছুটা সুস্থ বোধ করলে ভুক্তভোগী চিকিৎসকদের জানান, উত্তেজনাপূর্ণ পর্ন ভিডিও দেখার সময় তিনি গোপনাঙ্গে ২ মিটার লম্বা নাইলনের সুতো ঢুকিয়ে দিয়েছিলেন, এরপর তার সমস্যা বেড়ে যায়। একা একা কাটানো ব্যক্তিগত মুহূর্তগুলোকে উত্তেজনাপূর্ণ করতে তিনি এটা করেছিলেন।
মানসিক অসুস্থতার লক্ষণ:
সুতো নড়াচড়ার সময় হঠাৎ তার প্রচণ্ড ব্যথা শুরু হয়। লোকলজ্জার ভয় তিনি এই কথাটা কাউকে জানাতে পারেনি। এমনকি হাসপাতালে পৌঁছে চিকিৎসকদের কাছে সত্য কথা বলেননি এবং তার তলপেটে ব্যথা হচ্ছে কোনো কারণে এমনটা বানিয়ে বলেন। চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখতে পান, গোপনাঙ্গে একটি 2 মিটার লম্বা সুতো (2 metre long nylon thread entered in human private organ) প্রবেশ করানো হয়েছে।
চিকিত্সকরা বলেছিলেন যে এই ব্যক্তি যৌন সম্পর্ক বিষয় কোন বাস্তব জ্ঞান ছিল না সেইভাবে। তার কখনো কারো সাথে শারীরিক সম্পর্ক হয়নি তাই এই জিনিসগুলির প্রতি তার এমন মনোভাব ছিল। চিকিত্সকরা তাকে বলেছিলেন যে তার অবসেসিভ কম্পালসিভ ডিসঅর্ডার রয়েছে। এবং তার চিকিৎসার প্রয়োজন।