নাগপুরে, মায়ের বকার হাত থেকে বাঁচতে ১৫ বছরের এক কিশোরী তার প্রেমিকের সাথে পালিয়ে গেছিল। প্রেমিকার সঙ্গে বিয়ে করার সিদ্ধান্তও নিয়েছিলেন তিনি, কিন্তু তার আগেই পুলিশ পাঁচদিনের খোঁজাখুঁজির পর তাকে ফিরিয়ে। জানা গিয়েছে তার নিখোঁজ এর রিপোর্ট ১৩ই জুন হুদকেশ্বর থানায় নথিভুক্ত করা হয়েছিল, তারপরে একটি অপহরণের মামলা দায়ের করা হয়েছিল।
তথ্য অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরী ১২ জুন প্রেমিকের সঙ্গে দেখা করতে গেলেও ফিরতে দেরি করে। এমতাবস্থায় বাড়ি ফেরার বদলে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। তবে, এখন মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং তার ২০ বছরের প্রেমিককে আটক করে জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ওই যুবক নাবালিকা সমেত পালিয়ে যাওয়ার পর মেয়েটিকে তার আত্মীয়ের বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিল। তারপর সে তার বন্ধুদের কাছে সাহায্য চাইলেও কেউ তাকে থাকতে দেয়নি। মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড মজুরের কাজ করতো তাই মেয়েটিকে রাখার জন্য একটি ছোট রুম ভাড়া নেয়। পুলিশ জানায়, কয়েকদিন পর জারিপটকার একটি মন্দিরে দুজনের বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।
ঘটনার খবর পেয়ে হুদকেশ্বর থানার সিনিয়র ইন্সপেক্টর কবিতা ইসারকার তদন্ত শুরু করেন এবং সমস্ত এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করেন। এরপর মেয়েটির মায়ের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডও পরীক্ষা করা হয়। এ সময় এমন তিন ব্যক্তির কথা জানতে পারেন যার সাথে মেয়েটি শেষবারের মতো কথা বলেছিল। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, একটি সিসিটিভিতে ধরা পরা একটি টু-হুইলারের নম্বর থেকে যুবকের সন্ধান করা হয়েছিল।
ইসারকার বলেন, যুবক তার সিম কার্ড নষ্ট করে দিয়েছিল, কিন্তু পালিয়ে যাওয়ার সময় তার মায়ের সাথে কথা বলার জন্য এক আত্মীয়ের ফোন ব্যবহার করেছিল। এরপর যুবকের মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। কিছুক্ষণ পর যুবকের মা ও আরেক আত্মীয়ের সহায়তায় আমরা দুজনকেই খুঁজে বের করি। হুদকেশ্বর পুলিশ ওই যুবকের বিরুদ্ধে অপহরণ, বিয়ের চেষ্টা ও ধর্ষণের মামলা রুজু করে তাকে জেলে পাঠিয়েছে।