০.০১ পার্সেন্টাইল। কিন্তু তাই বা ছাড়া যায় কি? পঞ্জাবের ভাটিন্ডার পড়ুয়া হাল ছাড়েননি। জয়েন্টে ১০০ পার্সেন্টাইল না পাওয়া পর্যন্ত চেষ্টা করেই গিয়েছেন। থেমেছেন সফল হওয়ার পরে।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা ‘জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন’-এ ২০২১ সালে প্রথম হয়েছেন ১৮ বছরের ছাত্র পুলকিত গয়াল। জয়েন্টে ১০০ পার্সেন্টাইল পেয়েছেন তিনি। তবে এই নম্বর এক বারের চেষ্টায় আসেনি। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসের পরীক্ষায় ৯৯.৮৮ পার্সেন্টাইল পেয়েছিলেন পুলকিত। কোভিড পরিস্থিতির কারণে এ বছর চারটি সেশনে জয়েন্ট এন্ট্রান্স পরীক্ষা হয়। ১০০ পার্সেন্টাইল না পাওয়া পর্যন্ত প্রতি সেশনেই পরীক্ষা দিয়েছেন পুলকিত।
পুলকিত বলেছেন, ‘‘প্রথম সেশনের নম্বর একেবারেই পছন্দ হয়নি আমার। তাই আবার পরীক্ষায় বসি। দ্বিতীয় এবং তৃতীয়বারের চেষ্টায় ৯৯.৯৯ পার্সেন্টাইলে পৌঁছেছিল নম্বর। কিন্তু আমি চাইছিলাম ১০০ পার্সেন্টাইল পেতে।’’ সেই চাহিদা থেকে চতুর্থবারও পরীক্ষায় বসেন পুলকিত এবং সফল হয়েই থামেন।
পুলকিত বলেছেন, ‘‘আমি যে ১০০ পার্সেন্টাইল পাব, সেই বিশ্বাস ছিলই। তাই হাল ছাড়িনি।’’ ভাটিন্ডার নামদেব রোড এলাকার বাসিন্দা পুলকিতের প্রিয় বিষয় অঙ্ক। দিদি কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। জয়েন্টের পর পুলকিতও কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে প়ড়াশোনা করতে চান। তবে মেধাবী পুলকিত মাথা গুঁজে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়াশোনায় বিশ্বাসী নন। জানিয়েছেন, দিনে মাত্র ৭-৮ ঘণ্টা পড়াশোনা করতেন তিনি। ক্লাসও করেছেন অনলাইনেই।
বুধবার রাতে জয়েন্ট এন্ট্রান্স মেন ২০২১ পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হয়। এ বছর চারটি সেশনে ৯ লক্ষ ৩৯ হাজার পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। এর মধ্যে চারটি সেশনেই পরীক্ষায় বসেছেন আড়াই লক্ষের কিছু বেশি পরীক্ষার্থী। প্রথম হয়েছেন ১৮ জন। তবে এঁরা প্রত্যেকেই চারটি সেশনেই পরীক্ষা দিয়েছিলেন কি না, স্পষ্ট নয়।