করোনা ভাইরাসে (Coronavirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন শাশুড়ি। হোম আইসোলেশনে বিধি মেনে তাঁকে একটি আলাদা ঘরে রাখা হয়েছিল।নিয়ম মেনে তাঁকে দেওয়া হচ্ছিল খাবার, ওষুধপত্র। তবে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় তার কাছে যাচ্ছিলেন না কেউ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন তিনি। সব রাগ গিয়ে পড়ে ছেলের বউয়ের উপর।ক্ষোভ মেটাতে শেষে কিনা বৌমাকে জড়িয়ে ধরে তাঁকেও করোনা ভাইরাসে সংক্রামিত করলেন শাশুড়ি।
এমনই এক নিষ্ঠুর ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানায়। শুধু বৌমাই নয়, ঠাকুমার এই অমানবিক আচরণ থেকে পার পায়নি তার ছোট্ট দুই নাতি নাতনিও। সূত্র অনুযায়ী তাদেরকেও বারবার জাপটে ধরতে তিনি। এই ঘটনার পরে বৌমা এবং নাতি নাতনী মিলিয়ে তিনজনেই কোভিড আক্রান্ত।
প্রায় তিন বছর আগে তেলেঙ্গানার নিমালিগুট্টা থান্দা উপজাতির এক ব্যক্তির সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আক্রান্ত এই কিশোরীর। মহিলাটির স্বামী বর্তমানে উড়িষ্যায় থেকে অটো চালান। ৫ দিন আগে মায়ের করোনা আক্রান্ত হবার খবর পেয়ে তাকে কোভিড বিধি মেনে হোম আইসোলেশনে রাখার সব রকম ব্যবস্থা করেন তিনি। সেই মতোই চিকিৎসা চলছিল তার। কিন্তু বিষয়টি মেনে নিতে পারেননি ওই মহিলার শাশুড়ি।
তেলেঙ্গানা পুলিশ সূত্রে খবর, শাশুড়ির কারণে বৌমা করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়লে তাকে বাড়িতেও আর স্থান দেওয়া হয়নি। তাকে সেই অবস্থাতেই বাড়ির বাইরে বের করে দেওয়া হয়। তখন ওই মহিলার বোন এসে তাঁকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। তার বোনের বাড়ি তেলেঙ্গানার সিরকিল্লা জেলার রাজন্না এলাকার থিম্মাপুর গ্রামে। সেখানেই আপাতত ওই মহিলা হোম আইসোলেশনে রয়েছেন এবং তাঁর করোনা চিকিৎসা চলছে।
অমানবিক এই আচরণের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন সকলে। দাবি করেছেন শাশুড়ির শাস্তিরও।