প্রেমকে কোনও ভাবেই আটকানো যায়না, প্রেম মানুষকে টেনে সব বাধা থেকে বের করে নিয়ে যায়। তমলুকের এই মহিলা এমনটাই করেছেন। নিজের স্বামী-সন্তান সবাইকে ছেড়ে, মেয়ের বিয়ের গয়না নিয়ে এক প্রেমিকের হাত ধরে পালালেন তিনি। পুলিশের দ্বারস্থ স্বামী নিজের স্ত্রীকে ফিরে পেতে।
ওই গৃহ বধূ তমলুক থানার সনাতনচক এলাকার বাসিন্দা। তার স্বামী বেশ কয়েক দিন আগে তমলুক-শ্রীরামপুর (Serampore) রোডে একটি হোটেল খোলেন তাঁর স্বামী। তারা দুজনেই এই হোটেল একসাথে চালাতেন। তবে অন্য কাজে বেশ কিছুদিন বাইরে গেছিলেন ওই বধূর স্বামী। ওই বধূও একই হোটেল চালাচ্ছিলেন তখন। শোনা যাচ্ছে, এই কাজের জন্যই ওই লোকটির সাথে পরিচয় তার । ওই ব্যক্তির একটি সংসারও রয়েছে। মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই সম্পর্ক তৈরী হয় তাদের মধ্যে। প্রণয়ের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তাঁরা।
ওই বধূ এই সম্পর্ক বেশিদিন আড়াল করতে পারেননি । কর্ম সারাদিন মোবাইলে ব্যস্ত থাকার কারণে পরিবারে অশান্তিও হতো। বেশ কয়েক দিনের মধ্যে তার ফোনটি খারাপ হয়ে যায় আর সেখান ঠেকরই শুরু হয় অশান্তির। তবে তিনি খালি হাতে যাননি। নিয়ে গিয়েছেন, নিজের অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়া মেয়ের বিয়ের জন্য গয়নাও সঙ্গে নিয়েছেন মহিলা। এছাড়াও বাড়ির দুটি ভরা লক্ষ্ণীর ভাঁড় ও নগদ টাকা নিয়েছেন।
ইতিমধ্যেই তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন এ বিষয়ে ওই মহিলার স্বামী। বধূর ভাসুর বলেন, “ মোটেও ভাল নয় ভাইয়ের স্ত্রীর স্বভাব। আগেও পরকীয়া নিয়ে ঝামেলা হয়েছে। সেসব মেনেও নিয়েছিল ভাই। এখন ছেলেময়ে বড় হয়েছে, এই ঘটনায় ভাই ভেঙে পড়েছে।” ওই ব্যক্তিই আরও জানান, অন্যের দেড় লক্ষ টাকা মহিলার কাছে রাখা ছিল, সেটাও নিয়ে গিয়েছেন তিনি। বধূর এই কীর্তিতে স্বাভাবিকভাবেই হতবাক স্থানীয়ারও। তথ্য বলছে, গত দু’মাসের মধ্যে শুধুমাত্র সাউতানচকে তিনজন বধূ প্রেমিকের হাত ধরে সংসার ছেড়েছেন।