চিকিৎসার নাম করে হাসপাতালে গেলেন এক মহিলা। কিন্তু সেখানে গিয়ে চিকিৎসা তো করালেনই না উল্টে চিকিৎসার অজুহাতে তার সঙ্গে থাকা ব্যক্তির সঙ্গে হসপিটাল কক্ষের মধ্যেই শারীরিক সম্পর্ক করেন ওই নারী। এসব চোখে পরে যায় নিরাপত্তারক্ষীদের। সাথে সাথেই বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় পুলিশ। তবে ওই মহিলাকে আটক করা হয়নি। এই মামলাটি আদালতে উঠেছে। ওই মহিলাকে জরিমানা করেছে আদালত।
ঘটনাটি ব্রিটেনের। শ্যানন বেকার (বয়স ২৫ বছর) সমারসেটে থাকে। শ্যানন বেকার অ্যাম্বুলেন্সে করে ইওভিল হাসপাতালে তার এক বন্ধুর সাথে এসেছিলেন।
‘মিরর’-এর খবর অনুযায়ী, মহিলাকে কিছু সমস্যা হওয়ার পর অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। এ সময় ওই নারীর সঙ্গে তার বন্ধুও উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু কোভিডের নিয়মের কারণে বন্ধুটিকে ভিতরে আসতে নিষেধ করা হয়েছিল। হাসপাতালের কর্মীরা যখন অনুভব করলেন যে মহিলাটির সাথে কারো থাকা উচিত, তখন বন্ধুকেও ভিতরে যেতে দেওয়া হয়েছিল। মহিলাকে একটি রুম দেওয়া হয়েছিল, এদিকে তারা দুজনেই নেশাগ্রস্ত ছিল। এর পর দুজনেই ঘরের ভেতর থেকে লক লাগিয়ে দেন। কিছুক্ষণ পর নিরাপত্তারক্ষী তাদের দুজনের কর্মকাণ্ড দেখতে পান।
পুলিশ ডাকা হয়। পুলিশ আসার পরও দু’জনই দরজা না খুললেও পরে পুলিশের দল ভেতরে ঢুকে পড়ে। এরপর গ্রেফতার এড়াতে মাটিতে শুয়ে অজ্ঞান হওয়ার ভান করেন ওই মহিলা। ইয়োভিল ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে মহিলা স্বীকার করেছেন যে তিনি মদ খেয়েছিলেন।
‘মিরর’-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই মহিলা তার জীবনে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন। তাকে ইতিমধ্যে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সম্প্রতি, মহিলাটিও মাদকাসক্ত ছিলেন, তবে এখন তিনি এই সমস্যাগুলি নিরাময়ে কাজ করছেন।
কী বললেন বিচারক?
এমতাবস্থায় জেলা জজ মহিলাকে বলেন, ‘এটি কোনো ছোট ঘটনা নয়, আপনি এমন কাজ করে এনএইচএস স্টাফদের (হাসপাতাল স্টাফ) উদ্বিগ্ন করে তুলেছিলেন।’ এরপর ওই নারীকে জরিমানা করেন বিচারক।