কোনও সম্পর্ক স্থায়ী তখনই হবে যখন সম্পর্কে ভালোবাসার পাশাপাশি বিশ্বাস টাও থাকে। যদি সম্পর্কে কেউ একজন প্রতারণার পথ ধরে , তবে সেইটা সম্পর্কের আর দীর্ঘস্থায়ী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। আজকাল এরকম অনেক প্রতারণার ঘটনা আমাদের সামনে আসতে থাকে সমাজ মাধ্যমের দরুন। এই একই রকমের একটি প্রতারণার গল্প এক মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করেছেন। তাঁর গল্প বলার সময় ওই মহিলা নিজের পরিচয় গোপন রেখেছেন। মহিলার দাবি, তাঁর সঙ্গে প্রতারণা করেছেন তাঁর স্বামী মাসাজ পার্লারে গিয়ে। STD অর্থাৎ সেক্সুয়ালি ট্রান্সমিটেড ডিজিজ এই প্রতারণার প্রমাণ।
কানাডার রিচমন্ডের ঘটনাটি বলে জানা গিয়েছে । মহিলার বক্তব্য অনুযায়ী, সেখানে একটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত মাসাজ পার্লারে যেতে অভ্যস্ত ছিলেন তাঁর স্বামী। এক সময় হঠাৎই তিনি যৌন রোগে আক্রান্ত হন সেখানে ক্রমাগত যেতে যেতে। ওই মহিলা এই রোগ নির্ণয়ের পরেই জানতে পেরেছিলেন যে শুধুমাত্র মাসাজ করার জন্য পার্লারে যেতেন না তাঁর স্বামী। ভাগ্যক্রমে, এই মারাত্মক রোগের কবল থেকে মহিলা নিজে বেঁচে যান। কিন্তু তিনি তাঁর স্বামীকে ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বাস্তব ঘটনা বেরিয়ে আসার পর।
এই ঘটনার তথ্য দিয়েছেন কানাডার রিচমন্ড নিউজে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই মহিলা। তিনি জানান, এই রোগের কথা স্বামীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি নির্লজ্জভাবে তা মেনে নেন। এছাড়াও, তাঁর স্বামী ওই পার্লারে যাওয়ার বিষয়টি আরও প্রকাশ্য ভাবে মেনে নিয়েছেন বিবাহবিচ্ছেদের কথা জানার পরেও। কিন্তু ডিভোর্সের বিষয়টি নিয়ে ঝামেলা করার আগে স্বামীর সামনে বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে চেয়েছিলেন ওই মহিলা। এর জন্য স্বামীর ছবি তুলে ওই মহিলা মাসাজ পার্লারে গিয়ে বাস্তব ঘটনা খতিয়ে দেখে তবেই সিদ্ধান্ত নেন।
সেখানে ওই মহিলাকে ওখানেই কর্মরত অনেক মহিলাকর্মী নিশ্চিত করেছেন যে তাঁর স্বামী পার্লারে আসতেন। কিন্তু ওই মাসাজ পার্লারে অভিযান চালানো হয় বিষয়টি জানাজানি হলে। তখন অনেক কর্মকর্তা জানান, এখানে এ ধরনের কোনও কাজ হয় না। এটি লাইসেন্সপ্রাপ্ত শুধুমাত্র মাসেজের জন্য। যদিও ২০২০ সালের মার্চ মাসে এর আগেও এই পার্লারটি সন্দেহের আওতায় আসে। তখন এই পার্লারের যৌনকর্মীদের শূন্যপদ প্রকাশ করে তা প্রকাশ করা হয় একটি ওয়েবসাইটে । এবার এই ঘটনার পর ফের বিতর্কের মুখে পড়েছে এই পার্লার।