বড়দিন এর সময়। নতুন বছরের অপেক্ষা। নিজের অস্তিত্ব ভালভাবেই জানান দিচ্ছে শীত। হিমশীতল বিছানায় গা এলিয়ে দেওয়া মাত্রই যেন উড়ে এসে জুড়ে বসছে আলস্য। এদিকে সামনে রতিসুখের হাতছানি।
শীতকালে বেশির ভাগ মানুষ যৌন আগ্রহে ভরপুর থাকে। ঠান্ডায় আমাদের শরীর থেকে কোন ঘাম বাহির হতে পারেনা।
তাই বলা যায় গরমের মধ্যে যেমন সহবাসে মজা থাকেনা। কিন্তু শীতের মধ্যে সে সময়টা বেড়ে যায়। শীতকালে যেমন ঘুরে আনন্দ, খেয়ে আনন্দ। তেমনই সেক্স করেও আনন্দই আনন্দ। এ ছাড়া, সেক্স করতে শীতের সময়টাকেই আদর্শ বলে মনে করা হয় এ দেশে। যৌনতার চাহিদা শীতের সময়ে প্রবল বেড়ে যায় বলে ধারনা করেছেন আমেরিকার একদল ফিজিকাল গবেষকরা।
সহবাসে তৃপ্তি আসে শীতকালে
এমনিতে মিলনের ইচ্ছা সারা বছরই থাকে। কিন্তু সেটা তো গ্রীষ্মকালীন আবহাওয়ায় প্যাচপেচে ঘামের মধ্যেই সারতে হয়। যদিও মধ্যবিত্তের অনেকের বেডরুমেই এখন এসি এসে গেছে। তবুও কৃত্রিম ঠান্ডার চেয়ে প্রাকৃতিক শীতলতায় উষ্ণতার খোঁজে থাকে কাপলরা। শীতকাল এলেই মিলনের আগ্রহ বাড়ে প্রায় চারগুণ।
গরমের পর শীত এলেই ট্রাঙ্ক থেকে একে একে বেরোতে থাকে লেপ, বালাপোশ, কম্বল। গুটিসুটি শুরু হয়। সেই নরমগরম ব্যাপারটা যৌনতাকেও আরও বেশি মুচমুচে করে তোলে। ঠাণ্ডায় লেপের নীচ থেকে বেরোনো সত্যিই কষ্টকর। তবে, সাধের লেপের উষ্ণতার চেয়েও বেশী আকর্ষণীয় উষ্ণতা হতেই পারে যৌন উষ্ণতা। আর তার থেকে মন ফেরানো কঠিন!
গরমের মতো প্যাচপেচে ঘাম নেই শীতকালে। নিজের শরীর থেকেই যদি কুলকুল করে ঘাম ঝরতে থাকে, সঙ্গীর ঘামটা সহ্য হবে কীভাবে? এ তো চর্বি গলানো ঘাম নয়। এ হল শরীর থেকে সব পানি বেরিয়ে যাওয়ার ঘাম। ফলে গরমে শরীর কষে যায়। অনেক ঘামে মিলনের স্পৃহা হারায়। কিন্তু শীতে সে চিন্তা নেই। ঘাম হয়, কিন্তু সেক্স করতে করতে। চর্বি গলানো ঘাম।
অনেক শীতে শরীরকে গরম করতেও সেক্স দারণ এক্সারসাইজ়। অনেকেই ভেবে থাকেন , শীতকালের আলস্যে যৌন সঙ্গম সেভাবে আকর্ষণীয় হয় না। তবে সত্যিটা হল, শীতকালই হল এই উষ্ণতাকে পরতে পরতে উপভোগ করার সেরা সময়। কনকনে হাড়হিম অনুভূতি থেকে রেহাই মেলে। আড়ষ্টতা কাটিয়ে শরীরকে করে তোলে ঝরঝরে।