হিন্দু ধর্মে দেব-দেবীর আরাধনার পাশাপাশি, পুজোয় ব্যবহৃত সামগ্রীরও বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। পুজোয় ফুল, প্রদীপ, প্রসাদ, গঙ্গাজল, সিঁদুর, রোলী ও শঙ্খ অবশ্যই ব্যবহার করা হয়। পুজোর সময় শঙ্খনাদ শুভ মনে করা হয়। বিষ্ণু ও লক্ষ্মীর হাতে শঙ্খ সুশোভিত থাকে। পুজোয় তো বটেই, অনেকেই প্রতি দিন বাড়ির মঙ্গল কামনায় শাঁখ বাজান। কিন্তু শরীরের উপর কেমন প্রভাব ফেলে এই অভ্যাসটি?
বহু যুগ ধরেই শঙ্খের ব্যবহার চলে আসছে। বিশেষ কায়দায় জোরে ফু দিলেই শাঁখ বাজানো যেতে পারে। এই জোরে ফু দেওয়ার ফলে কী কী হয়? রোজ শঙ্খ বাজালে বাড়ির নেগেটিভ এনার্জি দূর হয় ও পজিটিভ এনার্জির সঞ্চার হয়। এখানে জানুন শঙ্খ বাজানোর নিয়ম ও লাভ—
• বিশেষ কায়দায় জোরে ফু দেওয়ার কারণে ফুসফুস এবং গলার পেশির উপর চাপ পড়ে। এই চাপ পেশিগুলির জন্য ভাল। তাতে ফুসফুসের ক্ষমতা বাড়ে। গলারও উন্নতি হয়।1
• যাঁদের জিভের জড়তা আছে, তাঁরা নিয়মিত শাঁখ বাজালে সেই সমস্যা কিছুটা কমতে পারে।
• অনেকের মতে, থাইরয়েড গ্রন্থিরও উপকার হয় শাঁখ বাজালে।
• শুধু গলা বা ফুসফুসই নয়, শাঁখ বাজালে শরীরের নিম্নভাগেও তার প্রভাব পড়ে। পেটের পেশিতে চাপ পড়ার ফলে রক্ত চলাচলের পরিমাণ বাড়ে। এমনকি মূত্রাশয়ের পেশির উপকার হয় এর ফলে। কারও কারও মূত্র ধরে রাখার ক্ষমতাও অল্প পরিমাণে বাড়ে নিয়মিত শাঁখ বাজালে।
• প্রস্টেট গ্রন্থিরও উপকার হয় নিয়মিত শাঁখ বাজালে।
• মুখমন্ডলের ব্যয়ামের জন্যও শঙ্খ বাজানো ভালো, এতে মুখের ত্বক উজ্জ্বল হয় ও বলিরেখাও কমে যায়।
শঙ্খকে সবসময় লাল কাপড়ে মুড়ে পুজো ঘরে রাখা উচিত। সকাল ও সন্ধ্যায় শঙ্খ বাজানো উচিত। এ ছাড়া অন্য কোনও সময় শঙ্খ বাজানো অনুচিত। বাড়িতে একের বেশি শঙ্খ রাখবেন না। কখনও অন্য ব্যক্তির সঙ্গে শঙ্খ বদল করবেন না। শঙ্খ বাজানোর আগে তার পুজো করা উচিত। পুজো না-করে ভুলেও শঙ্খ বাজাতে নেই। শঙ্খ বাজানোর পর, তা জল দিয়ে পরিষ্কার ও শুদ্ধ করা উচিত।